হিম হিম হিমালয় বেশি দূরে নয়, আসছে শীঘ্রই শৈত্যপ্রবাহের দিন
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২০ ডিসেম্বর ২০২১, ১:৩৪:৪৬ অপরাহ্ন
জানুয়ারিতে দেশের তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামতে পারে। শ্রীমঙ্গলে গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
অনুপম প্রতিবেদক, সিলেট অফিস : শীতকাল এলে সিলেটসহ দেশের সমগ্র উত্তরাঞ্চলের মানুষ সবার আগে পায় উত্তর দিকের হিমালয় থেকে আসা হিম হিম সমীরণ। তাই মাঝে মাঝে আসে শৈত্যপ্রবাহ, মানে কনকনে হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা বাতাস। খুব দূর কি বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ এভারেস্ট ধারন করা হিমালয় পর্বতমালা? বাংলাদেশের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা থেকে নেপালের কাঁকরভিটা স্থলবন্দরের দূরত্ব মাত্র ৫৪ কিলোমিটার। আর হিম হিম হিমালয় পর্বতমালার কোলেই নেপাল ও ভুটান।
তীব্র শৈত্যপ্রবাহ সিলেটে আসছে শীঘ্রই। আবহাওয়া দফতর আভাস দিয়েছে, ডিসেম্বর মাসের শেষে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ১ থেকে ২টি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ও জানুয়ারিতে ২ থেকে ৩টি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
উল্লেখ্য, ঘন কুয়াশা থাকলেই শৈত্যপ্রবাহ হয় না। তাপমাত্রা ১৪/১৫ ডিগ্রি থাকা অবস্থায় ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হতে পারে চারপাশ। শৈত্যপ্রবাহ হয় তাপমাত্রা ১০-৮ ডিগ্রিতে নামলে। তখন হিম হিম বাতাস বয়। কখনো তীব্র, কখনো মৃদু।
দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, তাপমাত্রা কমতে থাকার ধারাবাহিকতায় ডিসেম্বর মাসের শেষে উত্তরাঞ্চলসহ কয়েকটি অঞ্চলে ১ থেকে ২টি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ও জানুয়ারিতে ২ থেকে ৩টি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। জানুয়ারিতে দেশের তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামতে পারে।
খুব দূর কি বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ এভারেস্ট ধারন করা হিমালয় পর্বতমালা? বাংলাদেশের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা থেকে নেপালের কাঁকরভিটা স্থলবন্দরের দূরত্ব মাত্র ৫৪ কিলোমিটার। আর হিম হিম হিমালয় পর্বতমালার কোলেই নেপাল ও ভুটান।
আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজারে গতকাল রোববার ছিল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা- ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অঞ্চলে গত কয়েকদিন থেকে বিকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। ভোরে তা আরও বেড়ে যায়। শেষ রাত থেকে সূর্যোদয়ের পর পর্যন্ত ঘন কুয়াশা থাকে।
শীতের তীব্রতায় ছিন্নমূল ও দিনমজুররা পড়েছেন সীমাহীন কষ্টে। কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়ার কারণে হাওরপাড়, বস্তি ও চা বাগান এলাকার শ্রমজীবী মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন প্রতি বছরই।
উল্লেখ্য, ঘন কুয়াশা থাকলেই শৈত্যপ্রবাহ হয় না। তাপমাত্রা ১৪/১৫ ডিগ্রি থাকা অবস্থায় ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হতে পারে চারপাশ। শৈত্যপ্রবাহ হয় তাপমাত্রা ১০-৮ ডিগ্রিতে নামলে। তখন হিম হিম বাতাস বয়। কখনো তীব্র, কখনো মৃদু।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান জানান, রোববার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অঞ্চলে নভেম্বর মাসের শুরু থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। এ অবস্থা চলতে থাকবে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। অতীত রেকর্ড অনুযায়ী তাপমাত্রা আরও নিচে নামার সম্ভাবনা আছে।