ইরাকই প্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল : স্পিকার
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১০:৪৬:৪৪ অপরাহ্ন
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, (ফাইল ছবি)
অনুপম নিউজ ডেস্ক : দেশের জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ইরাক একটি মহান মুসলিম দেশ। ইরাক প্রতিষ্ঠার শতবর্ষের মাহেন্দ্রক্ষণ একটি তাৎপর্যপূর্ণ মাইলস্টোন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর আরব দেশের মধ্যে ইরাকই প্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।
ঢাকায় স্থানীয় একটি হোটেলে গতকাল মঙ্গলবার ইরাক রাষ্ট্রের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে ‘ইরাক দূতাবাস’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন স্পিকার।
অনুষ্ঠানে ইরাকের চার্জ ডি এফেয়ার্স আব্দুল সালাম সাদ্দাম মুহাইছেন সভাপতিত্ব করেন। এতে কুটনীতিকবৃন্দ এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ইরাকের ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এ সময় ইরাকের শতবর্ষের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু ইরাকের সাথে বন্ধুত্বের গুরুত্বের বিষয়টি যথাযথভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে ইরাককে পাশে পেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ইরাক বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। দু’দেশের বন্ধুত্বের ঐতিহাসিক ভিত রচনা করে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শতবর্ষে তারা সবদিক থেকে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধন করেছেন।
স্পিকার ইরাকের শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। ইরাক ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন। পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে উভয় দেশের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ইরাকের চার্জ ডি এফেয়ার্স আব্দুল সালাম বলেন, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১৯৭৪ সালে ইরাক সফরকে ঐতিহাসিক উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে জোরদার করে।




