সৌদিতে তাবলিগ নিষিদ্ধ ও জুমার খুতবায় সমালোচনার নির্দেশ দেওয়ায় ভারতের দেওবন্দ মাদ্রাসার প্রতিবাদ
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১১:৩৭:১২ অপরাহ্ন
সৌদি আরবের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স দপ্তরের মন্ত্রী আব্দুল লতিফ আল শাইখ
অনুপম নিউজ ডেস্ক : সৌদি আরবে তাবলিগ জামাত নিষিদ্ধ করায় এবং জুমার খুতবায় তাবলিগ জামাত সমালোচনার নির্দেশনা দেয়ায় ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিবাদ জানিয়েছে। দেওবন্দের আলেমগণ বলছেন সৌদি সরকারের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
সৌদি আরবের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স দপ্তরের মন্ত্রী ড. আব্দুল লতিফ আল শাইখের জারি করা এক নির্দেশনায় জুমার খুতবায় তাবলিগ জামাতের বিরুদ্ধে কথা বলতে বলা হয়। তাবলিগ জামাত নিয়ে মানুষকে সতর্ক করতে মসজিদের ইমামদের নির্দেশনা দেওয়া হয় এতে। তিনি বলেন, তাবলিগ জামাত ‘সন্ত্রাসবাদের একটি প্রবেশপথ’।
সৌদির ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স দপ্তরের এক টুইটে মন্ত্রণালয় কর্তৃক লিখিত আরবি খুতবাতে তাবলিগ জামাতের কাজের নিন্দা করা হয়েছে। পাশাপাশি এ জামাতের ওপর দেওয়া হয়েছে কিছু অভিযোগ।
সৌদি সরকারের ওই ঘোষণায় বলা হয়, এটি (তাবলিগ জামাত) । এদের বিপদ সম্পর্কে মানুষকে বোঝান। এদের ভুলগুলো তুলে ধরুন।
তাবলিগ জামাতের পাশাপাশি দাওয়া নামে আরেকটি সংগঠনের ব্যাপারে সতর্ক করা হয়। মন্ত্রী টুইটে জানিয়েছেন, মসজিদে ইমামদের তাদের ভাষণে উল্লেখ করা উচিত এরা কীভাবে সমাজের জন্য বিপজ্জনক। ১৯২৬ সালে দাওয়া নামের সংগঠনটি গঠিত হয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, তাবলিগ জামাত ভারতের দেওবন্দভিত্তিক সুন্নি মুসলিমদের সংগঠন। অন্যদিকে সৌদি আরবের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী কট্টর ওয়াহাবি ও আহলে হাদিস মতাদর্শের অনুসারী। তাই সৌদিতে প্রকাশ্যে তাবলিগ জামাতের কাজ করা যায় না।
সৌদি সরকারের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স দপ্তরের এমন নির্দেশনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলিম স্কলাররা। ভারতের বিখ্যাত আলেম শায়খ সালমান হুসাইনি নদবী এ বিষয়ে সৌদি সরকারের তীব্র সমালোচনা করে তাৎক্ষণিক আরবি ও উর্দু ভাষায় এর প্রতিবাদ করেছেন।
তিনি বলেন, মোহাম্মদ বিন সালমানের এ সৌদি সরকার আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদী শক্তির এজেন্ট হয়ে যে মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে কাজ করছে সেটি এমন নির্দেশনায় আরও স্পষ্ট হলো।
বাংলাদেশের গবেষক আলেম মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী বলেন, সৌদি সরকারের ফরমান, অভিযোগ ও খুতবা প্রচারের বিষয়ে আমার মূল্যায়ন দেশটির বড় আলেমদের কাছে পৌঁছানো হবে। শাসক পর্যায়েও পৌঁছে যাবে ইনশাআল্লাহ। ২০ জন আরব আলেমকে নিয়ে আমরা জুম মিটিং করছি। এ ধারা চলতে থাকবে। তারা কারেকশন দিতে পারেন কিন্তু শতবর্ষী একটি দীনি আন্দোলনকে এভাবে একতরফা নিন্দা ও নিরুৎসাহিত করতে পারেন না। মিথ্যা প্রচারণা শুনে তাবলিগি কাজের বিরুদ্ধে অপবাদ দিতে পারেন না।




