চাপে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, পদত্যাগ দাবী
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১২ ডিসেম্বর ২০২১, ১০:৪৪:০১ অপরাহ্ন
লণ্ডন অফিস : ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নিজের তৈরি আইন ভঙ্গ করে নিজেই ফেঁসে গেছেন। গত ডিসেম্বরে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে যখন ইনডোর পার্টি পর্যন্ত নিষিদ্ধ, তখন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে বড়দিনের পার্টির আয়োজন করেছিলেন তিনি। এতদিন এই খবরকে অস্বীকার করেছেন জনসন। তবে এবার শেষ রক্ষা হয়নি। সানডে মিরর, আইটিভিসহ ব্রিটেনের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম সেই পার্টির ছবি-ভিডিও প্রকাশ করায় বেশ চাপে পড়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
তিনি ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেও মন গলেনি বিরোধী শিবিরের। তাদের সাফ কথা, সরকার নিজে বিধি জারি করে নিজেই আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। এমতাবস্থায় বরিস জনসনের উচিত পদত্যাগ করা।
মঙ্গলবার ডাউনিং স্ট্রিটের অফিসের অন্দর মহলের ক্রিসমাস পার্টির একটি ভিডিও সম্প্রচার করে আইটিভি। আর তাতেই দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। ব্রিটিশ মিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বরে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ব্রিটিশ সরকার। ঠিক সেই সময় পিএমওর কর্মীরা বড়দিন পালনে মেতে ওঠেন। পার্টিতে করা ভিডিওতে তৎকালীন প্রেস সচিব অ্যালেগ্রা স্ট্রাটনকে অবৈধ পার্টি নিয়ে মজা করতেও দেখা গেছে। এর পরই জনসন সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। অনেকের অভিযোগ, করোনা রোধে দেশবাসীর জন্য বিধিনিষেধ জারি হলেও, নিয়ম তৈরির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারাই তা মানছেন না।
প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলা হয়েছে, আইন রক্ষার সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হয়ে এভাবে আইন ভঙ্গ করা বাজে সংস্কৃতি। দলনেতা কিয়ের স্টার্মার বলেন, ‘অবৈধ এই পার্টি আয়োজনের দায় কাঁধে নিয়ে বরিস জনসনের উচিত পদত্যাগ করা।’
এর আগেও জনসনের কনজারভেটিভ পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে কভিড বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল। সে সময় চাপে পড়ে জনসনের অন্যতম আস্থাভাজন ডোমিনিক কামিনসকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া ফাঁস হওয়া প্যানডোরা পেপারসের কারণে গত অক্টোবরেও পদত্যাগের হুমকিতে পড়েন জনসন। তখন দক্ষতার সঙ্গে সেই চাপ সামলে এলেও এখন আবার নতুন বিতর্কে পড়লেন তিনি।