যুক্তরাজ্যে কমিউনিটি নেতা মিসবাউর রহমান সম্মানজনক ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছেন
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ ডিসেম্বর ২০২১, ৬:১৫:০২ অপরাহ্ন
অনুপম প্রতিবেদক : দেশ ফাউন্ডেশন ইউকের চেয়ারম্যান ও যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, ব্রিটিশ বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ডস এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মিসবাউর রহমান মিসবা যুক্তরাজ্য কমিউনিটিতে বিশেষ অবদান রাখায় সম্মানজনক ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছেন। ব্রিটিশ হাউস অব কমন্সে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গত ২৯ নভেম্বর তাকে এ সম্মানজনক ডিগ্রি দেওয়া হয়। ডিগ্রি প্রদান অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন ব্রিটিশ এমপি, প্রফেসর ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদের সাথে মিসবাউর রহমান
সিলেট জেলার বালাগঞ্জ উপজেলার জামালপুর গ্রামের দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের কৃতি সন্তান মিসবাউর রহমান দীর্ঘদিন থেকে যুক্তরাজ্যের কমিউনিটি উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখে আসছেন। তিনি দেশ ফাউন্ডেশন ইউকে ও বিবিবি অ্যাওয়ার্ডস চালু করে ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের একটি উঁচু জায়গায় নিয়ে যেতে কাজ করে যাচ্ছেন।
মিসবা প্রথম বাঙালী যিনি প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুনকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ২০১৫ সালে তার অ্যাওয়ার্ডস প্রোগ্রামে হাজির করেছিলেন। এছাড়া মিসবা যুক্তরাজ্যে ও বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রজেক্ট, বাংলাদেশী ফেস্টিভ্যাল, পিটা মেলা, শিশুদের জন্য অ্যাওয়ার্ডস, এর মাধ্যমে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করতে সাহায্য করে যাচ্ছেন। তিনি ব্রিটেনের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনকে শক্তিশালী ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সহযোগিতা করেছেন। তার বহুমূখী কাজের মাধ্যমে তিনি ব্রিটেন ও বাংলাদেশে প্রশংসিত হচ্ছেন।
মিসবাউর রহমান সিলেটের সর্বজন শ্রদ্ধেয় রাজনীতিবিদ মরহুম আব্দুল হামিদের বড় নাতি। তার স্ত্রী সৈয়দা নিপা একজন এসিস্ট্যান্ট কেয়ার সাপোর্ট ম্যানেজার। এ দম্পতির দুই পুত্র সন্তান রাফসান রহমান ও ফাইজান রহমান। সম্প্রতি বড় ছেলে রাফসান ব্রিটেনের রাজপরিবারের ডিউক অব এডিনবারা গোল্ড অ্যাওয়ার্ডস পেয়েছে। উল্লেখ্য, মিসবাউর রহমান ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এর মিডল্যান্ডস বার্মিংহাম রিজিওনের প্রেসিডেন্ট।
অনারেরি ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোরকে মিসবাউর রহমান বলেন, ‘এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া, এই সম্মান পাওয়ার মাধ্যমে সেবামূলক কাজের দায়িত্ব আরো বেড়ে গেলো। আমি নিঃস্বার্থভাবে দেশ বিদেশের মানুষের জন্য যেভাবে কাজ করে আসছি, আগামীতেও সমাজসেবামূলক কাজ আরো বেশি করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।