২য় ও ৩য় ধাপে সিলেট বিভাগের ১২০ ইউনিয়নে আ.লীগ ৫০টিতে জয়ী

অনুপম নিউজ ডেস্ক : দেশে তৃতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হলো গতকাল রোববার ২৮ নভেম্বর। এ নির্বাচনে সিলেট বিভাগের চারটি জেলার ৭৭টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ হয়।

আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা অর্ধেক ইউনিয়নেও বিজয়ী হতে পারেননি। ৩১টিতে নৌকা প্রতীক বিজয়ী হয়েছে। আওয়ামী লীগের শৃঙ্খলা ভেঙে প্রার্থী হওয়া ২০ জন জয়ী হয়েছেন। বাকি ২৬টি ইউনিয়নে অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন। স্বতন্ত্র বিজয়ীর মধ্যে বিএনপির বেশ কয়েকজন মুলত তৃণমূল নেতা।

গত ১১ নভেম্বর দেশে দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সিলেটের ৪৪টি ইউনিয়নও ছিল। এর মধ্যে একটি ইউনিয়নে গণ্ডগোলের কারণে ফলাফল স্থগিত হয়। বাকি ৪৩টির মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ১৯টিতে নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয় পান ১০টিতে। বাকিগুলোর মধ্যে ১টিতে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী, ২টিতে জামায়াতের প্রার্থী এবং ১১টিতে বিএনপি নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হন। প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনে সিলেটের কোনো ইউনিয়ন পরিষদ ছিল না।

তৃতীয় ধাপের সিলেট জেলার ১৬টি, সুনামগঞ্জের ১৭টি, মৌলভীবাজারের ২৩টি এবং হবিগঞ্জ জেলার ২১টি ইউনিয়নে নির্বাচন। এসব ইউনিয়নের বেশিরভাগেই বিদ্রোহীদের নিরস্ত করতে পারেনি আওয়ামী লীগ। সিলেট জেলায় ১৪ জন, সুনামগঞ্জে ২৮ জন, মৌলভীবাজারে ২৪ জন এবং হবিগঞ্জে ১৮ জন মিলিয়ে দলটির ৮৪ জন বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃতীয় ধাপে ৭৭টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা অন্তত ৫০টিতে বিজয়ী হতে পারতেন, যদি না বিদ্রোহীরা মাঠে থাকতেন। বিদ্রোহী প্রার্থীরা ২০টি ইউনিয়নে জয় পেয়েছেন।

দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপ মিলিয়ে সিলেট বিভাগের ১২০টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন ৫০টিতে। দলটির বিদ্রোহীরা জয়ী হয়েছেন ৩০ ইউনিয়নে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সিলেট বিভাগে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছাড়া অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর ভিত্তি মজবুত নয়। এবার নির্বাচনে বিএনপি ছিল না। ফলে প্রায় শতভাগ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের জয়ের সুযোগ ছিল না। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলটি সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, বিশৃঙ্খলা, প্রার্থী বাছাইয়ে পক্ষপাতিত্ব, অযোগ্যদের মনোনয়ন প্রদান প্রভৃতি কারণে সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে আওয়ামী লীগের।