দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার নতুন ধরন, বিজ্ঞানীরা সতর্ক করলেন
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ নভেম্বর ২০২১, ১১:১৯:৪৬ অপরাহ্ন

খুব দ্রুত সেই ধরন আন্তর্জাতিকভাবেও ছড়িয়ে পড়তে পারে
অনুপম আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাসে নতুন একটি ধরন শনাক্ত করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা। এই নতুন ধরণের বিস্তৃতি ঘটলে দেশটিতে করোনার চতুর্থ ঢেউ দেখা দিতে পারে। তাদের আশঙ্কা, খুব দ্রুত সেই ধরন আন্তর্জাতিকভাবেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিবিসি, ব্লুমবার্গ, এএফপির প্রতিবেদনে নতুন এই ধরণের কথা জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আপাতত বিজ্ঞানীরা নতুন এই ধরনের নাম দিয়েছেন বি.১.১.৫২৯। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডেলটা, গামা, বেটার মতো নতুন এই ধরনের একটি গ্রিক নাম নির্ধারণ করে দেবে শিগগির।
দক্ষিণ আফ্রিকার দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে জিনোম সিকোয়েন্সিং করছেন বায়ো-ইনফরমেটিক্সের অধ্যাপক তুলিও ডি অলিভেরা।
বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘নতুন এই ধরনটির স্পাইক প্রোটিনে অস্বাভাবিক মাত্রায় মিউটেশন হচ্ছে যা তাকে অন্য ধরনগুলোরও চেয়েও আলাদা করে তুলেছে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জো ফালা ওই ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘নতুন এ ধরনের মিউটেশন আমাদের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। আমরা আশা করেছিলাম, এ বছরের ডিসেম্বর বা আগামী বছর জানুয়ারি পর্যন্ত করোনার নতুন ঢেউ আমরা ঠেকিয়ে রাখতে পারব। কিন্তু পরিস্থিতি ভিন্ন কথা বলছে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে জিনোম সিকোয়েন্সিং করছেন বায়ো-ইনফরমেটিক্সের অধ্যাপক তুলিও ডি অলিভেরা।
গত বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘নতুন এই ধরনটির স্পাইক প্রোটিনে অস্বাভাবিক মাত্রায় মিউটেশন হচ্ছে যা তাকে অন্য ধরনগুলোও চেয়েও আলাদা করে তুলেছে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জো ফালা ওই ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘নতুন এ ধরনের মিউটেশন আমাদের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। আমরা আশা করেছিলাম, এ বছরের ডিসেম্বর বা আগামী বছর জানুয়ারি পর্যন্ত করোনার নতুন ঢেউ আমরা ঠেকিয়ে রাখতে পারব। কিন্তু পরিস্থিতি ভিন্ন কথা বলছে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার সংক্রামক ব্যাধিবিষয়ক ইনস্টিটিউটের ক্লিনিক্যাল মাইক্রোবায়োলজিস্ট অ্যান ভন গ্যাটবার্গ জানিয়েছেন, সম্প্রতি তারা একশরও বেশি রোগী শনাক্ত করেছেন যারা বি.১.১.৫২৯ ধরনে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রতিবেশী দেশ বোস্তানাতেও এই ধরণে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
অ্যান ভন বলেন, ‘নতুন এ ধরণ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। বোস্তানাতে টিকা নেওয়া ব্যক্তিরা যখন এই নতুন ধরনে আক্রান্ত হলেন, তখন তা উদ্বেগেরই বটে। তারা আমাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন।’
দক্ষিণ আফ্রিকার ইউসিএল জেনেটিক্স ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফ্রাঁসোয়া ব্যালোক্স বলেছেন, এইডস আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে যারা দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিচ্ছেন না এবং যাদের মধ্যে সংক্রমণের মাত্রা তীব্র তারাই এ নতুন ধরনটির সবচেয়ে ‘বড় বাহক’ হয়ে উঠতে পারেন। সারা বিশ্বে এখন ৮২ লাখ এইডস আক্রান্ত রোগী রয়েছেন।




