আমেরিকান সাংবাদিক ফেনস্টারকে মিয়ানমারে ১১ বছরের কারাদণ্ড
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ নভেম্বর ২০২১, ১২:২৭:১৮ অপরাহ্ন
![]()
‘ড্যানির বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগগুলোর ভিত্তিতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করার আদৌ কোন ভিত্তি নেই’
অনুপম প্রতিবেদক : আমেরিকান সাংবাদিক ড্যানি ফেনস্টারকে মিয়ানমারের সামরিক আদালত ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে অভিবাসন আইন ভঙ্গ করা, অবৈধ যোগাযোগ এবং সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ভিন্নমত পোষণে উৎসাহ যোগানোর দায়ে। আজ শুক্রবার তার সাজা ঘোষণা করা হয়েছে।
মিয়ানমারে পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে আটক এ মার্কিন সাংবাদিক ইয়াঙ্গুনভিত্তিক অনলাইন নিউজ ম্যাগাজিন ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমারের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক।
এ সপ্তাহের গোড়ায় তার বিরুদ্ধে আরও দুটি অতিরিক্ত অভিযোগ আনা হয়েছে- একটি রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং অন্যটি সন্ত্রাসবাদের। এই দুটি অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হলে তার সাজা হবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। নতুন দুটি অভিযোগের বিচার শুরু হবে ১৬ নভেম্বর ৩৭-বছর বয়সী ড্যানি ফেনস্টারের।
চলতি বছরের মে মাসে তাকে ইয়াঙুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক করা হয়। মিয়ানমারে ফেব্রুয়ারি মাসের সামরিক অভ্যুত্থানের পর আটক কয়েক ডজন স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে তিনি একজন।
ফ্রন্টিয়ার ওয়েবসাইটের খবর অনুযায়ী, মি. ফেনস্টার এর আগে নিরপেক্ষ একটি সংবাদ ওয়েবসাইট ‘মিয়ানমার নাও’ -এ কাজ করেছেন, যে সংবাদ সাইট অভ্যুত্থানের পর সেনাবাহিনীর সমালোচনা করে খবর করেছে।
“তার বিরুদ্ধে আনা সবগুলো অভিযোগের ভিত্তি হল, তিনি নিষিদ্ধ সংবাদ সংস্থা ‘মিয়ানমার নাও’তে কাজ করতেন। মি. ফেনস্টার মিয়ানমার নাও থেকে ইস্তফা দেন ২০২০ সালের জুলাই মাসে এবং তার পরের মাসে যোগ দেন ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমারে। অর্থাৎ তাকে যখন ২০২১এর মে মাসে গ্রেপ্তার করা হয়, তখন তিনি নয় মাসের ওপর ফ্রন্টিয়ারে সাংবাদিকতা করছেন,” জানিয়েছে ফ্রন্টিয়ার সংবাদ সাইট। ফ্রন্টিয়ারের মতে, “ড্যানির বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগগুলোর ভিত্তিতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করার আদৌ কোন ভিত্তি নেই।”
বিবিসির দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া সংবাদদাতা জনাথান হেড বলেছেন, ড্যানি ফেনস্টারের বিচার হয়েছে কারাগারের ভেতর রুদ্ধদ্বার কক্ষে। মি. ফেনস্টারহ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর আটক বহু সাংবাদিককে এই কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে যেটুকু জানা গেছে তা শুধু তার আইনজীবীদের দেয়া তথ্যর ভিত্তিতে।
বাবা ও মায়ের সাথে ড্যানি
সামরিক অভ্যুত্থানের পর সেনা বাহিনী ‘মিয়ানমার নাও’ ছাড়া আরও চারটি সংবাদ প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করে তাদের সম্প্রচার লাইসেন্স বাতিল করে দিয়েছে। সূত্র : বিবিসি, সিএনএন, আল জাজিরা, রয়টার্স




