ইউপি নির্বাচন : সিলেট ঢাকা খুলনা বিভাগে সহিংসতার আশংকা
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ নভেম্বর ২০২১, ৯:৩৩:৩২ অপরাহ্ন
সিলেট অফিস : সিলেট ঢাকা খুলনা বিভাগে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা। সহিংসতা এড়াতে নির্বাচনের আগে বৈধ অস্ত্র জমা দেওয়া এবং আচরণবিধি লঙ্ঘনে প্রার্থীতা বাতিলের মত কঠোর শাস্তির প্রস্তাব করেছেন তারা।
মাঠ প্রশাসনের বক্তব্যের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, ইউপি নির্বাচনে নির্বাচনী পরিবেশ ভালো না থাকলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভোট বন্ধ করা হবে। এছাড়া কোনো প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে তার প্রার্থিতা বাতিলের হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সাহসী ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানিয়ে সিইসি বলেন, জেলা প্রশাসক যারা আছেন তারা পাশে থেকে সাহস জোগাবেন।
বৃহস্পতিবার আসন্ন দ্বিতীয় ধাপের ৮৪৬ ইউপি ভোট নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পর্যালোচনা সভায় অংশ নিয়ে সহিংসতার আশঙ্কার পাশাপাশি হুঁশিয়ারির কথা জানানো হয়। ভার্চুয়াল আয়োজিত সভায় ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে এবং অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথের পরিচালনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকার বিভাগীয় কমিশনার, উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, পুলিশ কমিশনার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন। বৈঠকে অংশ নিয়ে দেশের আট বিভাগের প্রায় সবগুলো মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বেশি মোতায়েনের প্রস্তাব করেন। এ সময়ে তারা একই ধাপে এত সংখ্যক ইউপির তফশিল না দেয়ার প্রস্তাবও করেন।
আলোচনা সভায় ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি তার বিভাগের অর্ধেকের মত ইউনিয়ন পরিষদ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বলে উল্লেখ করে বলেন, ঢাকা বিভাগের যেসব ইউনিয়নের নির্বাচন হবে তার অর্ধেকের মত জায়গায় সহিংসতার আশঙ্কা আছে। বিশেষ করে ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরিয়তপুরের নির্বাচন নিয়ে আমাদের আশঙ্কা আছে।
খুলনার বিভাগীয় কমিশনার তার বক্তব্যে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নড়াইল, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ এবং মাগুরায় সহিংসতার আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ভয়াবহ সংকটের কথাও এ সময় তুলে ধরেন। বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার আচরণ বিধি লঙ্ঘনে প্রার্থীতা বাতিলের মত কঠোর শাস্তির কথা বলেন। চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর্মকর্তারা পাহাড়ে ঝুঁকির কথা জানান। রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে শঙ্কার কথা তুলে ধরেন মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা। সিলেট রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি তার বিভাগের অন্য জায়গার পরিস্থিতি ভালো থাকলেও সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার ও ছাতকের পরিস্থিতি চ্যালেঞ্জিং বলে উল্লেখ করেন। দুর্গম ওই উপজেলা দুটির বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে একই দিনে ভোট হওয়ায় পরিস্থিতি কিছুটা কঠিন হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তারা নিয়মিত ওয়ারেন্ট তালিম, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারসহ সার্বিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
সহিংসতার শিকার স্বতস্ত্র প্রার্থীরা: বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, প্রথম ধাপের পর সহিংসতা বেড়েছে। এজন্য আমরা বিব্রত ও উদ্বিগ্ন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্বাচনে লেবেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। আমরা খবর পাচ্ছি যেসব সহিংসতা হচ্ছে তার শিকার স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। স্থানীয়ভাবে তারা প্রতিকার পাচ্ছে না। কোন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠান না হওয়ার আশঙ্কা থাকলে দরকার হলে ভোট বন্ধ করে দিতে হবে।




