সিলেটে রাহাত খুনের প্রধান আসামী সাদী গ্রেফতার, সিনিয়র না-মানার বিবাদে হত্যাকাণ্ড
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ অক্টোবর ২০২১, ১:৪৬:৪৯ অপরাহ্ন
প্রধান আসামি সামসুদ্দোহা সাদী
সিলেট অফিস : সিলেটের দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে আরিফুল ইসলাম রাহাত খুনের মামলার প্রধান আসামি সামসুদ্দোহা সাদীকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। গতকাল মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দুর্গম চর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে আজ বুধবার দুপুরে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করেছে সিআইডি (পুলিশের অপরাধ তদন্ত)।
সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি জানায়, রাহাত খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হওয়ায় ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে সিআইডি। বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধরের নির্দেশনায় এলআইসি’র একটি চৌকস টিম কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দুর্গম চর এলাকা থেকে মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামি সামসুদ্দোহা সাদীকে (২৩) গ্রেফতার করে।
সাদী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যা ঘটনা স্বীকার করেছেন বলে সিআইডি জানিয়েছে। বয়সে সাদী ছিলেন রাহাতের চেয়ে বড়। এজন্য তিনি তিনি রাহাতের কাছে ‘জ্যেষ্ঠতা’ (সিনিয়রিটি) দাবি করে আসছিলেন। এ নিয়ে উভয়ের বিবাদের অংশ হিসেবে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়।
ঘটনার সময় সাদীর পকেটে ছোরা ছিল বলে জানায় সিআইডি। সেটি দিয়েই তিনি রাহাতকে ছুরিকাঘাত করেন।
সিআইডি জানায়, ঘটনার পর সাদী পালিয়ে ঢাকার মিরপুরে অবস্থান করেন। সেখান থেকে আত্মগোপনে কুষ্টিয়ায় চলে যান তিনি।
জানা গেছে, সামসুদ্দোহা সাদীকে গ্রেফতারের পর কাল রাতে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। এরপর আজ রাজধানী ঢাকার মালিবাগে সিআইডি হেডকোয়ার্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
আরিফুল ইসলাম রাহাত খুনের ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে তার চাচা শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলা নয়-২১/২২/১০/২১। মামলায় ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয় দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানা এলাকার সিলাম পশ্চিমপাড়ার মৃত মোবারক আলীর ছেলে সামসুদ্দোহা সাদীকে। অপর দুই আসামি হলেন একই এলাকার জামাল মিয়ার ছেলে তানভীর আহমদ (১৯) ও দক্ষিণ সুরমার তেতলি ইউনিয়নের আহমদপুর গ্রামের মৃত গৌছ মিয়ার ছেলে ওলিদুর রহমান সানী।
এদের মধ্যে সাদী ছাত্রলীগের কর্মী। তিনি সিলেট ছাত্রলীগের কাশ্মীর গ্রুপের সাথে জড়িত বলে জানা গেছে। দক্ষিণ সুরমা কলেজের ২০১৮-১৯ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। কলেজে অধ্যয়নকালীন একবার তাকে বহিষ্কারও করা হয়।




