চাপে আছেন সরকারি চাকরিজীবিরা, ডিসেম্বরেই সম্পদের হিসাব দিতে হবে
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ অক্টোবর ২০২১, ৯:২৩:১৭ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক : চলতি বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরের মধ্যেই সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের হিসাব দিতে হবে। শুধু তাদেরই নয়, দিতে হবে পরিবারের সদস্যদেরও সম্পদের হিসাব। এ ব্যাপারে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। এবারে যারা সম্পদের হিসাব দেবেন তাদের নামের তালিকা সংরক্ষণ করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তারা আগামী পাঁচ বছর পর আবারও সম্পদের হিসাব দেবেন।
আগামী বছর যারা সম্পদের হিসাব দেবেন তাদেরও তালিকা করা হবে। যথারীতি তারাও পাঁচ বছর পর আবার সম্পদের হিসাব দেবেন। প্রতি বছরই এ ধরনের তালিকা সংরক্ষণ করবে সরকার। ফলে সব সরকারি চাকুরে ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সম্পদের হিসাবের আওতায় আনা হবে। এ জন্য বিদ্যমান ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’-এর প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা হচ্ছে। স্পষ্ট করা হচ্ছে সম্পদের হিসাবদান পদ্ধতি। এতে চাপের মুখে পড়েছেন সরকারি চাকরিজীবিরা।
এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিদ্যমান বিধি অনুযায়ী ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার ডেডলাইন। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেখব। এর পরই সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেওয়া হবে। চাকরিতে প্রবেশের সময় সম্পদের যে হিসাব দিয়েছেন তা ভিত্তি ধরে যাচাই-বাছাই করা হবে। এবার যারা হিসাব দেবেন তাদের তালিকা করা হবে। নিয়ম অনুযায়ী তারা পাঁচ বছর পর আবার হিসাব জমা দেবেন। এভাবে পর্যায়ক্রমে সবাইকে হিসাবের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে কাজ চলছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান, অধিকাংশ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজেদের নামে সম্পদ না করে পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনের নামে করে থাকেন। কেউ কেউ নিজের ভাই-বোন বাদ দিয়ে শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের নামে সম্পদ করেন। এসব হিসাব নেওয়া শুরু হলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। তাই দুষ্টচক্রের চাতুরী চলতে থাকবে। এ কারণেই গত ৪০ বছরেও এ বিধিমালার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা হয়নি।
উল্লেখ্য, এরআগে একাধিক অনুষ্ঠানে সম্পদের হিসাবে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাঁচ বছর পর পর সম্পদের বিবরণী দাখিলের নিয়ম আছে। এত দিন সেভাবে হয়তো মানা হয়নি। কিন্তু এ বিষয়ে আমরা আর ছাড় দেব না।’ ৭ সেপ্টেম্বর বিএসআরএফ সংলাপে কর্মকর্তাদের পাশাপাশি মন্ত্রিসভার সদস্যদেরও সম্পদের হিসাব দেওয়া উচিত কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই। স্বচ্ছতা-জবাবদিহির জন্য আমরা সবাই সম্পদের হিসাব দেব।’