কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেলের কাজ ৭৫ শতাংশ শেষ
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০২ অক্টোবর ২০২১, ১২:৪০:৩৮ অপরাহ্ন
সিলেট অফিস : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার এখন থেকে সেতুর পরিবর্তে টানেলের দিকে জোর দিচ্ছে। নদী বাঁচাতে হবে- তা না হলে শ্যামল বাংলাদেশ থাকবে না। এত ব্রিজ করার দরকার কী?
চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে দেশের প্রথম যে বঙ্গবন্ধু টানেল হচ্ছে, তার কাজ ৭৫ শতাংশ শেষ হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানান সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, সেতু যত নির্মাণ করবেন, তত নাব্যতা হারাবে। অনেক সেতু উদ্বোধন হয়েছে, আরও প্রায় ৫০টির মতো সেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। যশোর-খুলনা মহাসড়ক বারবার কেন নষ্ট হচ্ছে, তা ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংস্কার করার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, রাস্তা করার পর রক্ষণাবেক্ষণ না হলে তার সুফল পাওয়া যাবে না।
শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ-আইইবিতে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা মাওয়ার মতো এক্সপ্রেসওয়ে ইউরোপের অনেক দেশেও নেই। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও নেই। গাজীপুর থেকে টাঙ্গাইল, এলেঙ্গা থেকে রংপুর, রংপুর থেকে যাবে পঞ্চগড় একটা, আরেকটা বুড়িমাড়ী- এগুলো আমাদের পরিকল্পনা। এর কাজ চলছে। খুলনা-মোংলা-বাগেরহাট এগুলোও আমাদের কাজেরই অংশ। তিনি বলেন, এর বাইরে ঢাকা-সিলেট চার লেনের কাজ যত দ্রুত শেষ করা এবং চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার চার লেন করা- সেটাও প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। ওটাও দ্রুত শুরু করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। ফরিদপুর থেকে বরিশাল চার লেন করার জন্য এডিবির সঙ্গে কথা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা শেখ হাসিনার উন্নয়নের সংগ্রাম, নিরবচ্ছিন্ন স্বপ্নের মহাসড়কে খুলনা থেকে চট্টগ্রাম’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটি। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং উপকমিটির সদস্য সচিব প্রকৌশলী আবদুস সবুর।
অনুষ্ঠানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে সঞ্চালনা করেন আইইবির ঢাকা কেন্দ্রের সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার কাজী খায়রুল বাশার।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার এএফএম সাইফুল আমিন। এছাড়া আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন- আইইবির প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. নূরুল হুদা, বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. মিজানুর রহমান, সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মোহাম্মদ ফেরদৌস, সড়ক ও জনপদের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী একেএম মনির হোসেন পাঠান।