৪০ ভাগ ছাত্র-ছাত্রী স্কুলে যাচ্ছে না যে কারণে
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ৯:৫৫:২২ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক : করোনার সংক্রমণের কারণে দীর্ঘ ১৭ মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কমসংখ্যক শ্রেণির শিক্ষার্থীকে স্কুলে আসার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এরপরও উপস্থিতি তুলনামূলক অনেক কম। সারা দেশের উপস্থিতির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৪০ ভাগ শিক্ষার্থীই স্কুলে যাচ্ছে না।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা জানিয়েছেন, করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যে উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে চালু হয়েছিল বিচ্ছিন্নভাবে কিছু স্থানে শিক্ষার্থী করোনা সংক্রমণ হওয়ায় অভিভাবকদের মধ্যে কিছুটা ভীতি কাজ করছে। এ কারণেই অনুপস্থিত সংখ্যা কিছুটা হলেও বাড়ছে। এছাড়া যারা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীর অভিভাবকরা মনে করেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গেলে সময় অপচয় হবে। শেষ মুহূর্তে বাসায় বসে পড়তেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে তারা। এছাড়া পরীক্ষায় বসার আগমুহূর্তে কোনো ধরনের ঝুঁকি নিতে চাইছেন না তারা।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালুর দিন থেকেই মাঠ পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) মাধ্যমিক সংযুক্ত ৫ম শ্রেণি, ১০ম, এসএসসি পরীক্ষার্থী, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির উপস্থিতি, অনুপস্থিতির তথ্য সংগ্রহ করছে। এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সারা দেশের প্রাথমিক স্কুলের তথ্য সংগ্রহ করছে।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল শুরু হয়। ঐ দিন ৬৭ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। এর মধ্যে সর্বোচ্চ উপস্থিত ছিল মাধ্যমিক সংযুক্ত ৫ম শ্রেণিতে ৭১ শতাংশ। এছাড়া ঐ দিন ১০ম শ্রেণিতে ৭৬ শতাংশ, এসএসসি পরীক্ষার্থী ৬৯ শতাংশ, একাদশ শ্রেণিতে ৫৯ শতাংশ এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে ৫৩ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত দেখা গেছে।
কিন্তু এর পর থেকেই উপস্থিতির হার কমতে থাকে। ২০ সেপ্টেম্বরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঐদিন সার্বিক উপস্থিতি ছিল ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। এদিন দশম শ্রেণিকে ৫৪ শতাংশ, এসএসসি পরীক্ষার্থী ৬৩ শতাংশ, একাদশ শ্রেণি ৫২ শতাংশ এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে ৪৪ শতাংশ উপস্থিত ছিল।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর উপস্থিত ছিল ৫৬ শতাংশ। ঐ দিন সবচেয়ে কম শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল দ্বাদশ শ্রেণিতে ৪২ শতাংশ। এছাড়া ১৩ সেপ্টেম্বর ৬২ শতাংশ, ১৪ সেপ্টেম্বর ৫৩ শতাংশ, ১৫ সেপ্টেম্বর ৬০ শতাংশ, ১৬ সেপ্টেম্বর ৬০ শতাংশ, ১৮ সেপ্টেম্বর ৫৮ শতাংশ, ১৯ সেপ্টেম্বর ৫৮ শতাংশ, ২১ সেপ্টেম্বর ৫৯ শতাংশ, ২২ সেপ্টেম্বর ৫৭ শতাংশ, ২৩ সেপ্টেম্বর ৫৭ শতাংশ উপস্থিত ছিল।