ব্রিটেনে সন্তান নেওয়ার সংখ্যা কমছে, বড় বিপদ সামনে
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ৪:৫৩:৩৭ অপরাহ্ন
মো: রেজাউল করিম মৃধা : দি সোশ্যাল মার্কেট ফাউন্ডেশনের (SMF) তথ্য অনুযায়ী ব্রিটেনে সন্তান নেওয়ার হার অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে দীর্ঘ সময়ের জন্য নতুন প্রজন্মের বড় গ্যাপ তৈরি হচ্ছে এবং দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থারও অবনতি হবে।
গবেষণায় উঠে এসেছে, ‘‘ব্রিটেনের শতকরা ২২ ভাগ পিতামাতা তাদের বেতনের প্রায় অর্ধেক অর্থ ব্যয় করেন চাইল্ড কেয়ার এবং শিশুদের লালন-পালনের পিছনে। এই বৃহৎ খরচ বাঁচাতে অনেক পিতামাতা আর সন্তান নিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন। সেই সাথে চাকরি করে সন্তান সামাল দেওয়ার ঝুঁকি নিতে চান না অনেক পিতামাতা। তাই ব্রিটেনে সন্তান নেওয়ার সংখ্যা দিন দিন কমে আসছে”।
১৯৬৮ সালে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে সন্তান নেওয়ার গড় হার ছিল শতকরা ২.৯৩ ভাগ। কিন্ত ২০২০ সালে সন্তান নেওয়ার হার মাত্র শতকরা ১.৫৮ ভাগ। অর্থাৎ সন্তান নেওয়ার হার অর্ধেকে নেমে এসেছে। এই হারে সন্তান নেওয়া হলে বিশাল আকারে প্রজন্ম গ্যাপ সৃস্টি হবে।
অনেক প্যারেন্ট্স আবার নিজেরা সন্তান না নিয়ে এ্যাডাপড বা দত্তক নিয়ে থাকেন। সেই সংখ্যাও অস্বাভাবিক হারে কমে যাচ্ছে।
গবেষণায় আরও প্রকাশ, ২০৫০ সালের মধ্য নতুন সন্তান নেওয়া আরও কমে যাবে। তখন ব্রিটেন হতে পারে জনশূন্য। ৬৫ বৎসর পর ব্রিটেনে জনসংখা শূন্যের কোঠায় যেতে পারে।
এই সমস্য শুধু যে ব্রিটেনে তা নয় সারা ইউরোপ জুড়েই এর প্রভাব পড়ছে। ইতালি এবং ফ্রান্স নতুন সন্তান নিলে সন্তান এবং পিতামাতাদের জন্য আর্থিক অনুদানসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে নতুন সন্তান নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করছে।
গবেষকদের মতে, বৃটিশ সরকার নতুন বাবা মাকে সন্তান নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করতে হবে। সেই সাথে চাইল্ড কেয়ারের আরো সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। তবেই হয়তো নতুন পিতামাতা সন্তান নিতে উৎসাহিত হবেন।
চিফ ইকোনোমিস্ট ড: অ্যাভেক বাতাসারিয়া বলেন,”সন্তান না নেওয়া এক বিশাল হুমকি। সন্তান নেওয়ার জন্য প্যারেন্টসদের উৎসাহিত করার দায়িত্ব সরকারের”। নইলে জনসংখ্যা সংকটে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ব্রিটেন।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান, দ্য কনভার্সেশন, বিবিসি