জাতীয় সংসদে এমপি হাবিবের প্রথম ভাষণ প্রশংসিত
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:১৯:৪৮ অপরাহ্ন
সিলেট অফিস : সিলেটে-৩ আসন থেকে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব জাতীয় সংসদে প্রথম ভাষণ দিয়েছেন আজ। প্রথম সংক্ষিপ্ত ভাষণ শুনে তার নিজ এলাকার মানুষ অভিভূত। এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। পক্ষের বিপক্ষের সকলেই প্রশংসা করছেন তরুণ এ সংসদ সদস্যের।
বৃস্পতিবার সংসদে মাত্র ৮ মিনিটের বক্তব্যে সকল দাবি দাওয়া তুলে ধরেছেন তিনি- বললেন এলাকার লোকেরা। রাজনীতি সচেতন মহল বলছেন, নবীন এই সংসদ সদস্য সংক্ষেপে চমৎকার বক্তব্য দিয়েছেন। স্পীকার নির্ধারিত ৪ মিনিট সময় বাড়িয়ে ৮ মিনিট করে তাকে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ করে দেন।
হাবিবুর রহমান হাবিব সংসদে দাঁড়িয়ে প্রথমে নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত নান্দনিক সিলেট ৩ গড়ার বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। শুভেচ্ছা বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৫ই আগস্ট নিহত সকলকে স্মরণ করে এমপি
এমপি হাবিব তাঁর মা বাবাকে স্মরণ করে বলেন, আমার মা-বাবা আজ এই পৃথিবীতে নেই। ছোটবেলা তারা শিক্ষা দিয়েছিলেন মানুষের সেবা করার জন্য, আজ তারা বেঁচে থাকলে অনেক খুশি হতেন।
এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব সিলেটের সূর্য সন্তান প্রয়াত জাতীয় নেতা আবদুস সামাদ আজাদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, দেওয়ান ফরিদ গাজী, হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী, শাহ এসএম কিবরিয়া, সিলেট-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বর্ষীয়ান রাজনীতিক প্রয়াত অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দীন আহমদ কামরানসহ প্রয়াত সকল জাতীয় নেতৃবৃন্দের কথা স্মরণ করেন।
এমপি হাবিব তার বক্তব্যে সুরমা, কুশিয়ারা ও হাকালুকি বিধৌত ঊর্বর ভূমি বেষ্টিত সিলেট-৩ নির্বাচনী এলাকায় প্রধানমন্ত্রী প্রায় ৩ হাজার ৯শ ৮৬ কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণসহ মোট ৫ হাজার ৪শ ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সার কারখানা শাহ্জালাল সার কারখানা প্রকল্পটি বাস্তবায়নসহ দেশের ৪র্থ সরকারি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে বলে সংসদকে জানান। তিনি সংসদে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে নামকরণের দাবি জানান। একই দাবিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনও ডিও লেটার দিয়েছেন বলে সংসদকে অবহিত করেন।