ব্রিটিশ নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস, তিন মন্ত্রী বরখাস্ত
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১:০৭:৫১ অপরাহ্ন
নতুন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস
লণ্ডন অফিস : বড় ধরনের রদবদল ঘটিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে। তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে ডমিনিক রাবকে সরিয়ে তার জায়গায় নতুন নিয়োগ দিয়েছেন লিজ ট্রাসকে।
নতুন আইনমন্ত্রী করা হয়েছে ডমিনিক রাবকে। আফগানিস্তান থেকে বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে বিদেশি সেনা ও মিত্রদের প্রত্যাহারের পর সংকট দক্ষ হাতে সামাল দিতে না পারা নিয়ে সমালোচনার মুখে রাবকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হল।
জনসন অবশ্য রাবকে লর্ড চ্যান্সেলর এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসাবেও নিয়োগ দিচ্ছেন। তবে তার অবস্থান বা ভূমিকার এই পরিবর্তনকে পদাবনতি হিসাবেই দেখছেন টোরি এমপি’রা।
রাবের জায়গায় লিজ ট্রাস নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ায় ব্রিটিশ মন্ত্রিসভায় এখন শীর্ষ চার পদের মধ্যে দুটোতেই আসীন হলেন নারী।
৪৬ বছর বয়সী ট্রাস গত দু’বছর বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন। বিশ্বব্যাপী নানা দেশের সঙ্গে একাধিক ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তি করেছেন তিনি। কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা আছে।
বিবিসি জানায়, মন্ত্রিসভায় এই রদবদলে প্রধানমন্ত্রী জনসন যে তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছেন তারা হলেন- শিক্ষামন্ত্রী গ্যাভিন উইলিয়ামসন, আইনমন্ত্রী রবার্ট বাকল্যান্ড এবং স্থানীয় সরকার ও সম্প্রদায় বিষয়ক মন্ত্রী রবার্ট জেনেরিককে।
কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ারপার্সন আমান্ডা মাইলিংকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। মন্ত্রিসভার আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকেও নতুন পদে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তাছাড়া, কেবিনেট অফিস বিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল গভকেও সরকারে নতুন পদে দেওয়া হতে পারে বলে ওয়েস্টমিনস্টারে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বের হয়ে আসার পর প্রধানমন্ত্রী জনসন তার মন্ত্রিসভা পুনর্গঠন করেছিলেন। তবে ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী হওার পর থেকে জনসন এতদিন ঊর্ধ্বতন মন্ত্রীপদগুলোতে কোনও রদবদল ঘটাননি।