‘বাংলাদেশ তালেবানী রাষ্ট্র নয় যে পরীমনিদের নিগৃহীত হতে হবে’
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ৮:৪১:২৭ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক : পরীমনিকে মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার করে হেনস্তা করার কারণ তিনি প্রতিবাদী। উচ্চ আদালত হস্তক্ষেপ না করলে তার জামিন হয়তো আরো বিলম্বিত হতো। বাংলাদেশ তালেবানী রাষ্ট্র নয় যে পরীমনিদের নিগৃহীত হতে হবে।
বিশিষ্ট সমাজচিন্তক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ডক্টর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এসব কথা বলেছেন। শুক্রবার এফডিসিতে ‘বিনোদন জগতে মাদকের অপব্যবহার বাড়ার কারণ’ নিয়ে ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, মাদকের অপব্যবহার বাড়ার পেছনে রাষ্ট্রের নীরব ভূমিকা আছে। পরীমনিকে অন্যায়ভাবে বারবার রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। আদালতের এ ধরনের সিদ্ধান্তের কারণে বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়। পরীমনির মতো অপরাধে অভিযুক্তদের বারবার রিমান্ডে নেয়া উচিত নয়। তিনি আরও বলেন, বিনোদন ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে হয়তো পরীমনিকে বোট ক্লাবে যেতে হয়েছে।
সেটা না হলে এদেশের শোবিজে যুক্তরা এই পেশায় টিকে থাকতে পারবেন না। পরীমনির ন্যায়বিচার পাওয়া উচিত। তবে তার পক্ষে জনমত তৈরি হওয়ায় ন্যায়বিচার নিয়ে আশাবাদী হওয়া যায়। যদিও বর্তমানে জনমতের প্রতিফলন হওয়ার সুযোগ সংকুচিত হয়ে আসছে।
ছায়া সংসদ প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, আটক বা গ্রেপ্তার এরপর কাউকে অভিযুক্ত করে ‘রাতের রানী’ উপাধি দেয়া মোটেই সঠিক নয়। বিচারের আগেই রায়ের মতো স্টেটমেন্ট দিয়ে মিডিয়া ট্রায়াল করে কারও ব্যক্তিগত হয়রানি করা উচিত নয়। যা ঘটেছে চিত্রনায়িকা পরীমণির ক্ষেত্রে। অথচ বাংলাদেশ সংবিধানের ৩৫(৫) অনুচ্ছেদে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে, কাউকে নিষ্ঠুর অমানবিক বা লাঞ্ছনাকর দ্বন্দ্ব বা এরূপ কোনও আচরণ করা যাবে না। পরীমণির বাসায় মদ বা মাদক পাওয়ার অভিযোগে যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে কীভাবে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে তা তার বাসায় গেছে? কারা এর পৃষ্ঠপোষক যাদের কারণে পরীমণির আজ এই অবস্থা? পিয়াসা-মৌদের উত্থানের পেছনে কোন ‘রাতের রাজারা’ বেনিফিসারি সেই প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের মুখোমুখি করা হলে প্রশাসনের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়বে। যারা নাটক-সিনেমা, মডেল বা অভিনয়কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তথাকথিত শিল্পী বনে গিয়ে অপকর্ম করে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। ঘর বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে পরিচিত টেলিভিশনে ভালো নাটক, বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান তৈরি করে বিদেশি ডাবিংকৃত সিরিয়াল বন্ধ করতে হবে। তা না হলে মেধাবী ও সৃজনশীল অভিনেতা-অভিনেত্রীরা এ পেশায় টিকে থাকতে পারবেন না। ফলে বিনোদন জগতে মাদকের অপব্যবহার বৃদ্ধিসহ তৈরি হতে পারে নানা ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা।
প্রতিযোগিতায় সরকারি বাংলা কলেজকে পরাজিত করে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি বিতার্কিকরা চ্যাম্পিয়ন হয়। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ট্রফি ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়।