রুটিন : প্রতিদিন দুটি করে ক্লাস হবে স্কুল কলেজে, অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ৬:১৩:১৯ অপরাহ্ন
অনুপম প্রতিবেদক : শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কীভাবে ক্লাস নেওয়া হবে, আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে, এর গাইডলাইন প্রকাশ করে রুটিন তৈরির নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত আদেশ বলা হয়েছে, সপ্তাহে প্রতিদিন নির্দিষ্ট শ্রেণিতে দুটি করে ক্লাস ধরে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে রুটিন প্রণয়ন করতে হবে।
আদেশে বলা হয়, কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে সন্তোষজনক পর্যায়ে উপনীত হওয়ায় সরকার ১২ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যায়ক্রমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রম চালুর লক্ষ্যে প্রাক-প্রস্তুতিমূলক গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্লাস রুটিন তৈরির জন্য নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়, ২০২১ ও ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসবে। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চুতুর্থ, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে একদিন প্রতিষ্ঠানে আসবে।
সপ্তাহে প্রতিদিন নির্দিষ্ট শ্রেণিতে দুটি করে ক্লাস ধরে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রুটিন তৈরি করবে। রুটিনের সঙ্গে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ব্যবহারিক ক্লাস নির্ধারণ করা যেতে পারে বলে জানানো হয়।
যে সব প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তর সংযুক্ত রয়েছে সেই প্রতিষ্ঠান ওই সব স্তরের জন্য নির্ধারিত ক্লাস সমন্বয় করে রুটিন তৈরি করবেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো চলমান ডিগ্রি, সম্মান ও মাস্টার্স পরীক্ষার সঙ্গে সমন্বয় সাপেক্ষে ২০২১ ও ২০২২ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য রুটিন প্রণয়ন করে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
রুটিন প্রণয়নের ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ/প্রস্থান/অবস্থানের সময় স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের মতো কোনো বিষয় না ঘটে। রুটিন এমনভাবে প্রস্তুত করতে হবে যেন ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে এবং প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আপাতত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ক্লাস রুটিন তৈরির ক্ষেত্রে উপযুক্ত বিষয়সমূহ অনুসরণ করতে হবে এবং প্রতিদিন নির্ধারিত চেক লিস্ট অনুযায়ী তথ্য পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।