পীর হবিবুর রহমান পাঠাগার অপসারণ : দেশ বিদেশের ২৯ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ৬:১২:১১ অপরাহ্ন
সিলেট অফিস : বুধবার দেশের ২৭ জন বিশিষ্ট নাগরিক ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক সংসদ সদস্য মজলুম জননেতা মরহুম পীর হবিবুর রহমানের নামে স্থাপিত পাঠাগারটি প্রতিস্থাপনের দাবি জানিয়েছেন। তারা পাঠাগার অপসারণের প্রতিবাদও জানান। গণপাঠাগারটির অস্তিত্ব এখন আর নেই। পাঠাগার অপসারণের পাশাপাশি কয়েক বছর আগেই নামিয়ে ফেলা হয়েছে সাইনবোর্ডও।
এক বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘‘ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম শীর্ষ সংগঠক, সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য, ত্যাগী রাজনীতিবিদ জননেতা পীর হবিবুর রহমানের নামে সিলেট সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নামকরণকৃত ‘পীর হবিবুর রহমান পৌর পাঠাগার’ এর সাইনবোর্ডটি কে বা কারা সরিয়ে ফেলেছে। এই কলঙ্কজনক ঘটনা নিয়ে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন এ পর্যন্ত রহস্যজনক নিরবতা পালন করে চলেছে, যা উদ্বিগ্ন করে তুলেছে সিলেটসহ দেশের সচেতন নাগরিকদের। সুরমা নদীর তীরে এক নৈসর্গিক প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত পীর হবিবুর রহমান পাঠাগারটি নগরবাসীর জ্ঞানতৃষ্ণা মিটাতো। জননেতা ও প্রাক্তনমন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদের দান করা অনেক পুস্তক এই পাঠাগারে সংরক্ষিত ছিল। এই পাঠাগারের জায়গায় নির্মিত বহুতল ভবনে পীর হবিবুর রহমান পাঠাগারের কোন অস্তিত্ব নেই, সেই সঙ্গে অস্তিত্ব নেই শতাব্দীর জ্ঞান-সমৃদ্ধ অতি মূল্যবান গ্রন্থসমুহের। সিলেটের মাননীয় সিটি মেয়র, জেলা প্রশাসন এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ঐতিহ্যবাহী পাঠাগারটির অস্তিত্ব রক্ষার্থে কি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে, পীর হবিবুর রহমান পৌর পাঠাগারটি অপসারণ এবং এর সাইনবোর্ড অপসারণে কারা দায়ী, মূল্যবান গ্রন্থসমূহ সংরক্ষণে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- সর্বোপরি পাঠাগারটি কোথায় পুনস্থাপিত হলো-তা অবিলম্বে সিলেটবাসী সহ দেশবাসীকে অবহিত ও আশ্বস্ত করার দাবী জানাচ্ছি।’’
বিবৃতিদাতারা হলেন, মানবাধিকারকর্মী এ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবীদ ড. হায়াত মাহমুদ, ইতিহাসবীদ ও শিক্ষাবীদ ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. সারওয়ার আলী, শিক্ষা আন্দোলন নেতা রাশেদা কে চৌধুরী, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নূর মোহাম্মদ তালুকদার, বিএমএ’র সাবেক সভাপতি ডা. রশীদ-ই-মাহবুব, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান ঐক্য পরিষদেও সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এম আকাশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী তবারক হোসেইন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফৌজিয়া মোসলেম, উন্নয়নকর্মী খুশী কবির, নারীনেত্রী রোকেয়া কবির, ডাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মোশতাক হোসেন, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সভাপতি এস এম এ সবুর, সভাপতি, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী পারভেজ হাসেম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ বিশ^বিদ্যালয়ের প্রো ভিসি ডা. শহীদউল্যা শিকদার, গবেষক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ড. সেলুবাসিত, পীর হবিবুর রহমান ফাউন্ডেশন ইউকের সভাপতি আজিজ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মুহিব উদ্দিন চৌধুরী, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাপতি ড. সৈয়দ আবদুল্লা আল মামুন চৌধুরী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফয়েজ আহমেদ, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের তথ্য ও প্রচার সম্পাদক দীপায়ন খীশা, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন সিলেট জেলা শাখার আহ্বায়ক মুকির হোসেন চৌধুরী, পীর হবিবুর রহমান স্মৃতি পরিষদের সভাপতি সৈয়দ বেলায়েত আলী লিমন।