সকল নৃগোষ্ঠীর অংশ গ্রহণে তালেবান সরকার গঠন করতে যাচ্ছে
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ আগস্ট ২০২১, ১১:৪২:৩৫ অপরাহ্ন
কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবান নেতারা বৈঠক করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সাথে ২০২০ সালের ২০ নভেম্বর আমেরিকান সেনা প্রত্যাহার বিষয়ে।
অনুপম নিউজ ডেস্ক : আফগানিস্তানের সকল নৃগোষ্ঠীর অংশ গ্রহণে তালেবান সরকার গঠন করতে কাজ করে যাচ্ছে। তারা চায় কোনো একক নৃগোষ্ঠীর দ্বারা ‘ইসলামি সরকার’ হবে আফগানিস্তানে।
গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান দখলে নেয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী তালেবান। মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সৈন্যরা দেশ ছাড়া শুরু করলে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দীর্ঘ ২০ বছর আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান।
তবে এক সপ্তাহ পর এখনও নতুন সরকার গঠনের ঘোষণা দিতে পারেনি সংগঠনটি। ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, আগামী ৩১ আগস্টের দিকে সরকার গঠন করতে পারে তালেবান।
এদিকে, তালেবান মুখপাত্র সোহাইল শাহিন বলেছেন, তারা সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক চান এবং দেশের সব নৃ-গোষ্ঠীর অংশগ্রহণে সরকার গঠন করবেন।
কাতারের রাজধানী দোহার রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে ইরানের প্রেস টিভিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন তিনি।
তালেবান সরকারে পশতুদের অংশগ্রহণ থাকবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইসলামি সরকার কোনও নৃ-গোষ্ঠীর ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হবে না। আপনি জানেন যে, আফগানিস্তানের বাদাখশান প্রদেশসহ আরও কয়েকটি প্রদেশে তাজিক জাতিগোষ্ঠী রয়েছে, ফারিয়া ও সারে পোলের মতো প্রদেশগুলোতে রয়েছে উজবেক জনগোষ্ঠী। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে রয়েছে পশতু জনগোষ্ঠী। এরা সবাই আফগানিস্তানের জনগণ এবং তারা ইসলামি সরকারের অংশ হবে। ’
সোহাইল শাহিন জোর দিয়ে বলেন, তালেবানের শীর্ষ নেতারা একটি অংশগ্রহণমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে যাতে আফগান সরকারে সবার অংশ গ্রহণ থাকে। তিনি আরও বলেন, সরকারে এবং দেশ পুনর্গঠনে সব নৃ-গোষ্ঠীর অংশ নেওয়ার অধিকার রয়েছে। সবাই যাতে দেশের জনগণের সেবা করতে পারে সেজন্য অংশগ্রহণমূলক সরকার গঠন করা হবে।
উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশ সম্পর্কে তালেবানের এ মুখপাত্র বলেন, আফগানিস্তানে এটি একটি বিদেশি চক্র, দেশের মাটিতে কোথাও এদের ঠাঁই হবে না। সোহাইল শাহিন জোর দিয়ে বলেন, আফগানিস্তানের ইতিহাসের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে চাইছে তালেবান।
মেয়েদের শিক্ষা এবং নারীদের কর্মসংস্থান সম্পর্ক সোহাইল শাহীন বলেন, ‘আফগানিস্তানে হাজার হাজার গার্লস স্কুল রয়েছে। সেগুলো চালু আছে। কোনও বাধা দেওয়া হচ্ছে না, মেয়েরা স্কুলে যেতে পারছে। নারী শিক্ষকরাও তাদের কাজ শুরু করেছেন। ফলে নারীদের শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানে প্রবেশে আমাদের কোনও সমস্যা নেই তবে এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই ইসলামি হিজাব মানতে হবে। নারীদের অধিকার থাকবে, তবে শুধুমাত্র হিজাব মানার শর্ত থাকবে। ’