পুলিশ কর্মকর্তা নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন জোর করে শিশুর স্বীকারোক্তি নেওয়ায়
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২২ আগস্ট ২০২১, ৩:২১:০০ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক : বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ছোট ভাই হত্যার দায় বড় ভাইয়ের উপর চাপাতে জোর করে শিশুর স্বীকারোক্তি আদায়ের ঘটনায় ওই মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন সারিয়াকান্দির থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও বর্তমানে নাটোর সিআইডির পরিদর্শক নয়ন কুমার হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন। তবে আদালত তার ক্ষমার আবেদনের বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি। এসময় পিবিআইয়ের বগুড়ার উপপরিদর্শক (এসআই) মনসুর আলী আদালতে হাজির ছিলেন।
এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। এর আগে এ ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে দুই তদন্ত কর্মকর্তাকে সশরীরে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।রোববার (২২ আগস্ট) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে নয়ন কুমার ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
আদালতে নয়ন কুমারের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পী।
নয়ন কুমার ওই শিশুকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছিলেন। আর মনসুর আলী ওই শিশুকে অব্যাহতি দিয়ে নতুন দুই আসামিকে অভিযু্ক্ত করে চার্জশিট দেন।
এর আগে গত ২৯ জুন হাইকোর্ট তাদেরকে ৩ আগস্ট হাজির হতে বলেছিলেন। কিন্তু ওইদিন করোনার কারণে আদালত বন্ধ থাকায় শুনানি হয়নি।
গত ২০ জুন বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় আট বছর বয়সী ছোট ভাই হত্যার দায় ১২ বছর বয়সী বড় ভাইয়ের উপর চাপানোর ঘটনায় আদালত বলেছিলেন, ‘এটা তো দুঃখজনক। যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে এবং এটি যদি সত্য হয়, তাহলে সেটি আমাদের দেশের জন্য দুঃখজনক। আমরা এখনও জানি না কী ঘটেছে।’ এসময় রাষ্ট্রপক্ষকে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার জন্য বলেন আদালত।
‘পুলিশের ভুলে ১২ বছরের শিশুর ঘাড়ে ছোট ভাই হত্যার দায়’ শিরোনামে একটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদ যুক্ত করে হাইকোর্টে আবেদন করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। ওই আবেদনের উপর শুনানির ধারাবাহিকতায় আজ এক তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করলেন।