চালের ঘাটতি নেই, দাম বাড়াচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা, ১০ লাখ টন আমদানির সিদ্ধান্ত
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ আগস্ট ২০২১, ১০:২৭:১৬ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ : চালের দাম বাড়তি। দেশে চালের ঘাটতি নেই। গত বোরো মৌসুমেও ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় রেকর্ড পরিমাণ চাল উৎপাদন হয়েছে। এখন মাঠে আছে আমন। বন্যা না হলে আমনেও ভালো ফলনের আশা করছে কৃষি মন্ত্রণালয়। ওএমএসসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে বছরে ১৫ থেকে ২০ লাখ টন চাল প্রয়োজন। সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মজুত বাড়াতে বিদেশ থেকে ১০ লাখ টন চাল আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কিন্তু এত ইতিবাচক খবরের পরও অস্থির হয়ে উঠেছে চালের বাজার। বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মোটা চালের দাম ৫২ টাকায় উঠেছে। এই দাম গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। অন্য চালের দামও বাড়তি। ফলে এই করোনা মহামারির মধ্যে বিপাকে পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষ।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, কারসাজি চক্রের কারণেই চালের দাম বাড়ছে। বেশি লাভের আশায় মিলার ও মজুতদাররা ধান, চাল মজুত করে রেখেছে। ফলে চাহিদার তুলনায় বাজারে ধান-চালের সরবরাহ কম। এই সিন্ডিকেট এতটাই শক্তিশালী যে, চালের দাম কমাতে সরকার সারা দেশে ওএমএস চালু করলেও বাজারে তা কোনো প্রভাব ফেলছে না।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারও বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন, ‘নব্য মজুতদারদের’ কারণে চালের দাম বাড়ছে। করোনার কারণে অন্য ব্যবসায় মন্দা থাকায় অনেক ব্যবসায়ী ধান, চাল কিনে মজুত করেছেন। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, খাদ্যমন্ত্রী যদি এই মজুতদারদের বিষয়ে জানেন তাহলে কেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছেন না?
দেশে চালের সবচেয়ে বড় মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগর। গত কিছুদিন ধরেই এই মোকামসহ অন্যান্য মোকামেও চালের দর বাড়তি। ধানের ব্যাপক মজুত গড়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দর বাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ দেশের অটো রাইস মিলের মালিকসহ অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে।