ফেসবুক লাইভে এসে ব্যারিস্টার সুমন বললেন…

অনুপম নিউজ : যুবলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়ে ফেসবুকে মুখ খুললেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

তিনি ফেসবুক লাইভে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, দল যখন সিদ্ধান্ত নেয় তখন দলের ভালো হবে এই চিন্তা করেই সিদ্ধান্ত নেয়। আমার এই সিদ্ধান্তে কোনো দ্বিমত নেই।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জয় বাংলা বঙ্গবন্ধু এ তিন ওতপ্রোতভাবে জড়িত, যারা জয় বাংলা এবং বঙ্গবন্ধুতে বিশ্বাস করে না, তাদের নৈতিকভাবে কোনো অধিকারই থাকে না এই বাংলাদেশে থাকার। কারণ আমাদের বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালি, জাতির জনক। আমি শুধু এই কথাটুকু বলার চেষ্টা করেছি যে, এটি বুকে ধারন করতে হয়’। তিনি বলেন, ’যতদিন বেঁচে আছি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যেতে চাই।’

রোববার (৮ আগস্ট) দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটের দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেজ থেকে  ‘লাইভ’-এ এসব কথা বলেন তিনি।

শনিবার (৭ আগস্ট) যুবলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে।

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল শনিবার (৭ আগস্ট) রাতে আরটিভি নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

গত ৪ আগস্ট রাত ১২টা ১ মিনিটে শহীদ শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে শরীয়তপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি দলীয় কর্মসূচিতে স্লোগান দিয়েছিলেন সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন। “শুভ শুভ দিন শেখ কামালের জন্মদিন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু” ওই স্লোগানের ২৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। প্রকাশ্যে রাজনৈতিক প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে স্লোগান দেয়ায় ওসি সরকারি বিধিমালা ১৯৭৯ লঙ্ঘন করেছেন এমন কথাও বলেন কেউ কেউ।

এই ঘটনার পর যুবলীগ নেতা ব্যারিস্টার সুমন সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করেন। ৬ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে ওসির এই স্লোগানের নিন্দা জানান ব্যারিস্টার সুমন।

সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থেকে দল ও মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা স্লোগানের প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখানোর কারণে ব্যারিস্টার সুমনের বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।