টিকা নিতে ধাক্কাধাক্কি, অব্যবস্থাপনা, ‘যাদের জ্বর আছে তাদের টিকা দেয়া যাবে না’
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ আগস্ট ২০২১, ১:০৪:০৯ অপরাহ্ন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, যাদের জ্বর আছে তাদের টিকা দেয়া যাবে না। এক্ষেত্রে যারা স্বাস্থ্যকর্মী আছেন তাদের সতর্ক থাকতে হবে। যারা টিকা নিবেন তাদেরকেও বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।
অনুপম নিউজ : দেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে গণটিকাদান কার্যক্রম। প্রথম দিনের মতো আজ দ্বিতীয় দিনেও কেন্দ্রগুলোতে মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কোথাও কোথাও ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটেছে। নেই সামাজিক দূরত্বের বালাই।
করোনায় মৃত্যুর মিছিল থামাতে টিকার কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে টিকা দানের গতি বাড়াতেই হবে। দিনে গড়ে ৬-১০ লাখ মানুষকে টিকা দেয়ার টার্গেট নিতে হবে। কিন্তু গতকাল টিকা ক্যাম্পেইনের প্রথম দিনে বেশ অব্যবস্থাপনা দেখা গেছে সারা দেশেই। টিকাদান কেন্দ্রে ছিল প্রচণ্ড ভিড়। গাদাগাদি করে মানুষ লাইনে দাঁড়ান। ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও ঘটে। ছিল না কোনো শৃঙ্খলাও।
প্রভাবশালীদের দেখা গেছে, লাইন ছাড়াই টিকা দিতে। করোনার উপসর্গ নিয়েও অনেকে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। অনেকেরই ছিল জ্বর-সর্দি। অথচ বিশেষজ্ঞদের আগেই পরামর্শ ছিল, করোনা বা এর উপসর্গ নিয়ে যেন কেউ টিকা না দেন। এক্ষেত্রে গ্রামে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করারও কেউ ছিল না। কয়েকটি স্থানে একই ব্যক্তিকে দুই বার টিকা দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। যা উদ্বেগজনক। সিলেটের গোয়াইনঘাটে মাসুদা বেগমকে দুই বার টিকা দেয়া হয়। একই ঘটনা ঘটেছে বালিয়াকান্দিতে। কোথাও কোথাও টিকা কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের প্রভাবও দেখা গেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অতীতে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে। দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে সারা দুনিয়ার জন্যই। করোনা টিকার ক্ষেত্রেও আমাদের উদাহরণ তৈরি করতে হবে। টিকা সংগ্রহের প্রচেষ্টা আরও জোরদার করতে হবে। শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে গণটিকাদানের ক্ষেত্রে। টিকা কেন্দ্রের নেতৃত্বে থাকতে হবে স্বাস্থ্যকর্মীদেরই। এক্ষেত্রে নিয়োগ করতে হবে সর্বশক্তি। যদি সপ্তায় ছয় দিন টিকা দেয়া যায় সেক্ষেত্রে ভিড় অনেকটাই কমে আসবে। যাদের করোনার উপসর্গ আছে তাদের টেস্টের আওতায় আনতে হবে। লাইনে সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে। অগ্রাধিকার দিতে হবে বয়স্কদের।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, যাদের জ্বর আছে তাদের টিকা দেয়া যাবে না। এক্ষেত্রে যারা স্বাস্থ্যকর্মী আছেন তাদের সতর্ক থাকতে হবে। যারা টিকা নিবেন তাদেরকেও বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।



