পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ডি-ও : ওসমানীতে আরও সাড়ে ৪০০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার অনুমোদন
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ আগস্ট ২০২১, ৯:৫৬:৫০ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ : সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার জন্য আরও সাড়ে চারশ’ শয্যার একটি আইসোলেশন সেন্টার স্থাপনের জটিলতার অবসান হয়েছে। হাসপাতালের আউটডোর বিল্ডিংয়ে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন সংযোজন প্রকল্প স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন লাভ করায় জটিলতার অবসান হলো। সকল প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও এতোদিন শুধু সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইনের অভাবে এই সেন্টারটি চালু করা সম্ভব হচ্ছিল না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের ডি-ও লেটার (দাপ্তরিক বিশেষ পত্র) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন এনে দেয়। এতে খরচ হবে প্রায় চার কোটি টাকা।
প্রকল্প অনুমোদনের বিষয়টি শুক্রবার নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
জানা যায়, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন বর্হিবিভাগের ১০তলা ভবনের ৪র্থ ও ৫ম তলা আইসোলেশন সেন্টারের জন্য প্রস্তুত করা হয়। কিন্তু সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন না থাকায় সাড়ে চারশ’ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার চালু করা সম্ভব হচ্ছিল না। ওসমানী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সিটি করপোরেশন কয়েক দফা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করলেও সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপন প্রকল্পটি পাশ হয়নি। এই অবস্থায় গত বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এমপি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি বরাবরে একটি ডি-ও লেটার পাঠান। ওই ডি-ও লেটারে তিনি সিলেটে কোভিড পরিস্থিতি তুলে ধরে দ্রুত প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়ার অনুরোধ জানান। ওই ডি-ও লেটার পাঠানোর পরদিনই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এমপি বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেককে ডি-ও দেওয়ার পর তিনি দ্রুত উদ্যোগ নিয়েছেন। এখন দ্রুততার সহিত কাজ সম্পন্ন করে সিলেটের মানুষের জন্য নতুন এই আইসোলেশন সেন্টারটি চালু করা প্রয়োজন। সাড়ে চারশ’ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারটি চালু হলে সিলেটের মানুষ অনেক উপকৃত হবে’।