ঝুঁকিপূর্ণ কিনব্রিজ দিয়ে যানবাহন চলাচল নিষেধ
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ জুলাই ২০২১, ২:৩৫:৫২ অপরাহ্ন
শহর প্রতিনিধি, সিলেট: সিলেট মহানগরে ঢোকার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী প্রবেশপথ কিনব্রিজ দিয়ে যানবাহন চলাচলে আবার নিষেধ করেছে সিটি করপোরেশন (সিসিক)। রিকশা, ভ্যান ও মোটরসাইকেল ব্যতিত অন্য সব ধরনের যানবাহন এ সেতু দিয়ে চলাচল করতে পারবে না।
গত রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিলেট সিটি করপোরেশনের লোকজন কিনব্রিজে প্রবেশমুখে নিষেধাজ্ঞার সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়েছেন। এছাড়া নতুন করে বসানো হয়েছে লোহার ব্যারিকেড।
সেই সময়ের ৫৬ লাখ টাকা খরচে ১৯৩৩-৩৬ এ তিন বছরে তৈরি হয় ১১৫০ ফুট লম্বা এ ব্রিজ। তখন আসাম প্রদেশের বৃটিশ গভর্নর ছিলেন মাইকেল কিন। তখন আসামের সাথে সিলেটের যোগাযোগের মাধ্যম ছিল ট্রেন। ফলে, রেলওয়ে বিভাগ ১৯৩৩ সালে সুরমা নদীর ওপর ব্রীজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় এবং নির্মাণ শেষে ১৯৩৬ সালে ব্রীজটি আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয়।
তৎকালীন আসাম সরকারের এক্সিকিউটিভ সদস্য রায় বাহাদুর প্রমোদ চন্দ্র দত্ত এবং শিক্ষামন্ত্রী আব্দুল হামিদ ব্রীজটি নির্মাণের ক্ষেত্রে অশেষ অবদান রেখেছিলেন।
প্রায় শত বছরের পুরোনো কিনব্রিজ এখন ঝুঁকিপূর্ণ। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার এটির সংস্কার করা হয়েছে। ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করে এবং যানজট যাতে না হয়, সেজন্য কিনব্রিজ দিয়ে ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে লোহার ব্যারিকেড বসিয়ে যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করেছিল সিসিক। ওই সময় রিকশা চলাচলও বন্ধ করে দেয়া হয়।
তবে দক্ষিণ সুরমার মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে কিছুদিন পর রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেল চলাচলের সুযোগ করে দেয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে কে বা কারা লোহার ব্যারিকেড তুলে ফেলে, শুরু হয় সিএনজি অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, লাইটেসসহ সবধরনের যান চলাচল।
দীর্ঘদিন পর গতকাল বুধবার রাতে ফের লোহার ব্যারিকেড বসানো হয়েছে কিনব্রিজের উভয় প্রবেশমুখে। সিসিকের কর্মীরা যান চলাচলের নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত সাইনবোর্ডও বসিয়ে দেন তখন।
সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে, ‘রিক্সা, ভ্যান, মটর সাইকেল ব্যতিত অন্যান্য সকল প্রকার যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ নিষেধ’।