মৌলভীবাজার খামারিদের লোকসান ৭ কোটি টাকা
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ জুলাই ২০২১, ১০:৫৩:২৯ অপরাহ্ন
![]()
কমলগঞ্জের একটি গরুর হাট
সংবাদদাতা: কুরবানির পশুর হাটের শেষদিন হঠাৎ করেই দাম কমতে শুরু করে। দিনে বাজার ভালো তাকলেও বিকেল থেকে হঠাৎ করেই বৃষ্টি শুরু হওয়ায় আশানুরুপ বিক্রি হয় নি, লাভ দূরে থাক, যে দামে কেনা সে-দামে বা লোকসান দিয়েও পশু বিক্রি করতে পারেন নি বিক্রেতারা। ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার গরু ক্রেতারা দাম বলেন ৮০-৮৫ হাজার। জেলা গবাদি পশু অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর প্রায় ৭ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।
বাজার থেকে বাড়িতে গরু ফেরত আনেন প্রদিপ দাস। বললেন, ‘আমি ১লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে ২টি গরু ক্রয় করেছি ১ বছর আগে ঈদে বিক্রয় করবো বলে। বাজারে গরু তোলার পর দাম হয় ১ লক্ষ ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা। গরু ক্রয় করার পর আমার ৫০ হাজার টাকা প্রায় খরচ হয়েছে। তাহলে আমি কিভাবে গরু বিক্রয় করবো? তাই বাড়িতে নিয়ে এসেছি ভালো দাম পেলে বিক্রয় করবো।’
মৌলভীবাজার জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো আব্দুস ছামাদ জানান, আমরা খবর নিয়ে দেখেছি জেলা ১০% মত গরু বিক্রয় হয় নাই। করোনাজনিত কারণে শেষ দিকে দাম মন্ধা গেছে। গ্রাহক কম ছিল প্রবাসিরা অনেকেই আসতে পারে নাই। লকডাউনে আর্থিক সমস্যার কারেণ গ্রাহক কম ছিল। সারা দেশে একেই চিত্র মানুষ বড় গরু ক্রয়ের সামর্থ্য হারিয়ে ফেলেছে। জেলায় ৬৮ হাজার গরু প্রস্তুত ছিল। অনেকে বাড়িতে খামারে গিয়ে গরু ক্রয় করেছেন। অনেক কৃষক গরু প্রথমে বিক্রয় করে দিয়েছে। কিছু কৃষক বেশি দাম পাওয়ার আশায় ছিল, ভালো দাম পায়নি বিক্রয় করেনি ফেরত নিয়ে গেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের লোকসান হয়েছে। এবার অন্য জেলার গরু বাজারে আসেনি।
হবিগঞ্জ থেকে ১০ ট্রাকে প্রায় ১০০ গরু জেলায় প্রবেশ করেছে। তারা বাজারে দাম মন্দা দেখে আর গরু আনেনি। কিছু বিক্রয় হয়েছে আর কিছু কম দামে বিক্রয় করে দিয়েছে।
শহরের স্টেডিয়াম গবাদি পশুর হাটের লিজদার মো. শাহাজান বলেন, মেঘের কারণে সব থেকে বেশি সমস্যা হয়েছে। সারা রাত বৃষ্টি হয়েছে যারা ক্রয় করতে পারছে তারা ক্রয় করছে। যারা পারেনি অন্য গরুর সাথে শরিক হয়ে কোরবানি দিয়ে দিছেন। আমাদের লোকসান হয়েছে ১০০%।
ছাগল বিক্রতারা কান্না করেছেন। গরু ব্যবসায়ী ভেঙ্গে পড়েছেন। যে গরুতে ২ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে সেই গরু ১ লক্ষ ৫০ হাজারে বিক্রয় করতে হয়েছে। শেষ বাজারে লক্ষ টাকা গরু বিক্রয় হয় নাই বললেই চলে। আমাদের এখন সব হিসাব করা হয় নাই। আমি সারা রাত বাজারে ছিলাম ছোট গরু ব্যবসায়ী ক্ষতি হয়েছে বেশি।


