১ মিনিটে নব্বই কিলোমিটার গতিসম্পন্ন নতুন হাইপারসনিক মিসাইল রাশিয়ার, কারণ আমেরিকা.. 

অনুপম প্রতিবেদন: আমেরিকা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে রাশিয়ার হাইপারসনিক মিসাইল আটকানোর জন্যে ইন্টারসেপ্টর বানানোর কাজে। ২০১৯ থেকে রাশিয়ার হাতে শব্দের চেয়ে ৫ গুণ বেশি গতিসম্পন্ন হাইপারসনিক মিসাইল দুটি। দুদিন আগে শব্দের চেয়ে ৯ গুণ গতিসম্পন্ন নতুন হাইপারসনিক ক্ষেপনাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করেছে রাশিয়া। দেশটির বক্তব্য আমেরিকা ও ন্যাটো জোট তাদের সঙ্গে সামরিক ভারসাম্য নষ্ট করছে। ফলে তাদের প্রতিহত করতেই নতুন এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। চীনেরও আছে হাইপারসনিক মিসাইল। (গতি ২ কিলোমিটার প্রতি সেকেণ্ডে)

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ মঙ্গলবার (২০ জুলাই) ক্রেমলিনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সমরাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক চুক্তিগুলো গত কয়েক দশকে ক্রমান্বয়ে অকার্যকর হয়ে পড়েছে।

তিনি এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক মিসাইল ট্রিটি বা এবিএম চুক্তি থেকে আমেরিকার বেরিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেন। ১৯৭২ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে ওই চুক্তি সই করেছিল ওয়াশিংটন।

চীনের হাইপারসনিক মিসাইল

পেসকভ বলেন, আমেরিকা ও ন্যাটো জোট সুনির্দিষ্টভাবে এমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে যার ফলে রাশিয়ার সঙ্গে তাদের সামরিক ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। তারা রাশিয়ার সীমান্তের কাছে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে। এসব ব্যবস্থা দিয়ে প্রয়োজনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো সম্ভব।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র বলেন, পাশ্চাত্যের এসব পদক্ষেপের জবাব দিয়ে রাশিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সামরিক ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য যা কিছু করার প্রয়োজন ছিল মস্কো তা করেছে। সূত্র: গ্লোবাল ডিফেন্স/আল-জাজিরা/স্কাইনিউজ/ডিফেন্স নিউজ