অর্থহীনতারও অন্য অর্থ: গানটির ভিউ বিশ্বের জনসংখ্যার বেশি
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ জুন ২০২১, ১:০৩:৩১ অপরাহ্ন
অনুপম প্রতিবেদক: ভালভাবে দেখলে গানটির অর্থ নাই। বিবিসি বলেছে ‘ক্যাচি লিরিকস’ আর ‘ফান ড্যান্স’ এর জনপ্রিয়তার মূল কারণ। গানটির দৈর্ঘ্য মাত্র ২ মিনিট ১৭ সেকেন্ড। অথচ স্বল্প দৈর্ঘ্য এই গানটিই মাতিয়ে তুলেছে গোটা বিশ্বকে। ইতোমধ্যে শিশুতোষ এই ছড়াগানের ভিউ ছাড়িয়ে গেছে সারা বিশ্বের জনসংখ্যাকেও।
‘বেবি শার্ক নামের এই ছড়াগানটি প্রায় অর্থহীন বলেই মনে হয়।
অথচ এই গানই পাল্লা দিয়েছে পৃথিবীর নামীদামি শিল্পী, মিউজিক কম্পোজার, কিংবা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে।
গত বছর নভেম্বর মাসে ইউটিউবের সবচেয়ে বেশিবার দেখা ভিডিও হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ‘বেবি শার্ক’। ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে এসে গানটির ‘ভিউ’ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮৭০ কোটি, যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার চেয়েও বেশি।
‘ভিউ’–এর বিচারে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে লুইস ফনসি ও ড্যাডি ইয়াঙ্কির গান—দেসপাসিতো (৭৩০ কোটি)।
২০১৪ সালে জাপানি কথাশিল্পী হারুকি মুরাকামির গল্প ‘ইয়েস্টারডে’ সারাবিশ্বে জনপ্রিয় হয়েছিল ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশের পর। গল্পটির চরিত্র কিটারু একটি অর্থহীন গান গায় সারাক্ষণ, যে-গান বিটলসের একটি গানের সুরের অনুকরণে। সে গায়, ‘গতকাল আগামীকালের দুইদিন আগের দিন/এই দিন দুই দিন আগের পরের দিন।’ মুরাকামি এ গল্পে এ বার্তাটিও দিয়েছিলেন যে, জগতে অর্থহীনতারও অর্থ আছে।
বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাষায় বেবি শার্ক গানটির অসংখ্য সংস্করণ রয়েছে। তবে ৮ দশমিক ৭ বিলিয়নের মাইলফলক ছুঁয়েছে যে ভিডিওটি, সেটি পাবেন পিংকফং-এর ইউটিউব চ্যানেলে। পিংকফং মূলত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান স্মার্টস্টাডির একটি ব্র্যান্ড।
পিংকফং বেবি শার্ক গানটির একটি অ্যানিমেশনভিত্তিক সংস্করণ ইউটিউবে আপলোড করেছিল ২০১৫ সালে শুরুতে।
২০১৬ সালে তারা নতুন করে গানটির অডিও ও ভিডিও ধারণ করে। দুটি বাচ্চা ছেলে-মেয়ের সহজ নাচের ভঙ্গি, ঝলমলে রং, কিংবা গানের কম্পোজিশন, যে কারণেই হোক, বাচ্চারা এই সংস্করণটি পছন্দ করে ফেলে। আর তাতেই বাজিমাত। প্রতি মুহূর্তে বাড়তে থাকে এর ভিউ। মাত্র পাঁচ বছরে যার ভিউ ছাড়িয়ে গেছে গোটা বিশ্বের জনসংখ্যাকেও!