ডাউকি ফল্টে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকায় যে কারণে মারা যেতে পারে ৪০ লাখ মানুষ
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ জুন ২০২১, ১০:৪৮:৫৭ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: ১২৪ বছর আগে, ১৮৯৭ সালের ১২ জুন ভারতের আসামে স্মরণকালের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছিল। রিখটার স্কেলে সেই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিলো ৮ দশমিক ৭। তখন ২৫০ কিলোমিটার দূরের ঢাকায় ভূমিকম্পটির তীব্রতার স্কেলে রাজধানীর কম্পন মাত্রা সাতের বেশি। ১২৪ বছর পর বর্তমান সময়ে ডাউকিতে একই মাত্রার ভূমিকম্প হলে সেটার তীব্রতায় ঢাকার অবস্থা যা হবে, তা ভয়াবহ।
ডাউকি ফল্টে অতীতের একই মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকা শহর তীব্রতার স্কেলে সাত থেকে আটের মধ্যে কাঁপবে। এই কম্পন ঠেকিয়ে টিকে থাকবে এমন ভবন ঢাকা শহরে খুব বেশি নেই। তাই এমন ঘটনায় শহরে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।
সিসমিক ভালনারেবিলিটি এসেসমেন্ট অব বিল্ডিং অব ঢাকা নামের এক গবেষণাপত্রে কয়েক বছর আগে বলা হয়, শহরে ৩০ লাখ মানুষ মারা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, ভূমিকম্পে রাজধানীর ৩০ ভাগ বিল্ডিং পুরোপুরি ধসে পড়তে পারে। ঢাকায় এখন ভবনের সংখ্যা চার লাখের আশেপাশে। সে হিসেবে আনুমানিক এক লাখ ২০ হাজার ভবন ধসে পড়তে পারে। এতে প্রাণহানি হতে পারে প্রায় ৪০ লাখ মানুষের। প্রাণহানির মূল কারণ হতে পারে আগুন। ভেঙে পড়া গ্যাসের পাইপলাইন থেকে গ্যাস বেরোনোর সম্ভাবনা ব্যাপক। গ্যাস থেকে আগুনের পুরো ভবনে আগুন লাগতে পারে। এছাড়া, ঘরের ভারি জিনিসপত্রের নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারাবে মানুষ। তাছাড়া পানির লাইন ভেঙে স্যুয়ারেজের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় পানীয় জলের সংকটে পড়বে মানুষ। এর বাইরে ভেঙে পড়া ভবনের নিচে চাপা খাওয়ার সম্ভাবনা তো আছেই।




