তিন খুনের রহস্য উদঘাটনে তৎপর পুলিশ, হিফজুরকে সন্দেহ
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ জুন ২০২১, ১:০১:১৭ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তিন খুনের রহস্য উদঘাটনে একযোগে কাজ করছে পুলিশের ডিবি ও সিআইডিসহ একাধিক শাখা। জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের বিন্নাকান্দি দক্ষিণপাড়া গ্রামে ঘরের ভেতর তিনজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহতরা হলেন- দিনমজুর হিফজুরের স্ত্রী আলিমা বেগম (৩০) ও তাদের দুই সন্তান মিজান (১০) এবং তানিশা (৩)। নিহতদের লাশ ময়নাতদেন্তর জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন হিফজুর রহমান। তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে হিফজুরের জ্ঞান ফিরলেও স্বাভাবিকভাবে কথা বলার অবস্থায় নেই।
স্থানীয়রা জানিয়েছিলেন, বুধবার (১৬ জুন) সকালে অনেক বেলা পর্যন্ত হিফজুরের ঘরের কেউ ঘুম থেকে উঠছিলেন না দেখে প্রতিবেশীরা হিফজুরের ঘরের সামনে যান। এসময় ভেতর থেকে কান্নার শব্দ শুনে দরজায় ধাক্কা দেন তারা। এসময় দরজার সিটকিনি খোলা দেখতে পান তারা। ভেতরে প্রবেশ করে তারা খাটের মধ্যে তিন জনের জবাই করা মরদেহ ও হিফজুরকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে গোয়াইনঘাট থানায় খবর দিলে একদল পুলিশ গিয়ে লাশ তিনটি উদ্ধার করে ও হিফজুরকে হাসপাতালে পাঠায়। হিফজুরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে দায়ের কোপ রয়েছে।
খবর পেয়েই সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ পিপিএম ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএমসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ দুটি বিষয়কে সামনে রেখে এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। হিফজুরের সঙ্গে তার মামার জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এর জের থেকে হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। আবার স্ত্রীর সঙ্গেও হিফজুরের বিরোধ রয়েছে। সেটা স্ত্রীর পাশের বাড়ি যাওয়াকে কেন্দ্র করে। তাই হিফজুরকেও সন্দেহের বাইরে রাখা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, হিফজুরের জ্ঞান ফেরার পর তার কথা বলার মতো অবস্থা হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তখন আসল বিষয় বেরিয়ে আসবে।




