সকলের খুব প্রিয় ছিলেন বদর উদ্দিন আহমদ কামরান
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ জুন ২০২১, ৩:০৪:২২ অপরাহ্ন
অনুপম প্রতিবেদক: সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার ১৫ জুন। গত বছরের এ তারিখে ভোর রাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার ইন্তেকাল হয়।
এ রাজনীতিবিদ দলমত নির্বিশেষে সিলেটের মানুষের কাছে খুবই প্রিয় ছিলেন। নগরীর যেকোন সমস্যার কথা শোনামাত্রই দ্রুত ছুটে যেতেন তিনি। সেই সাথে সিলেটের সর্বস্তরের মানুষের জন্য তার বাসার দরজা সবসময় খোলা ছিল। তার জনপ্রিয়তার কারণেই তিনি পৌরসভার কমিশনার থেকে প্রথমে চেয়ারম্যান আর পরে সিসিকের প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন। তা আবার তত্ত্বাবধায়ক সকারের আমলে করাগারে বন্দী থেকে। সবকিছু মিলিয়ে জয়প্রিয়তার তুঙ্গে ছিলেন প্রয়াত সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান।
সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, যোগ্যতার কারণেই তিনি প্রথমে কমিশনার, এরপর পৌরসভার মেয়র এবং পরে সিসিকের প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন বিপুল ভোটে কারাবন্দি অবস্থায়। দল কিংবা সিলেট মহানগরের যেকোন সমস্যা সহজেই সমাধান করে দিতেন তিনি। তার কাছে যেকেউ খুব সহজেই যেতে পারতো। অত্যন্ত দক্ষ ও পরিপক্ক রাজনীতিবিদ ছিলেন তিনি। এখনও তাকে মানুষ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে যাচ্ছে।
জানা যায়, বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান ১৯৫১ সালের ১ জানুয়ারি সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময় ১৯৭৩ সালে তিনি প্রথমবার সিলেট পৌরসভার ওয়ার্ড কমিশনার নির্বাচিত হন। ১৯৯৫ সালে হন সিলেট পৌরসভার চেয়ারম্যান। ২০০২ সালে সিলেট পৌরসভা সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত হওয়ার পর কামরান মেয়র মনোনীত হন। ২০০৩ সালে সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচনে জিতে মেয়র পদ ধরে রাখেন তিনি। ২০০৭-০৮ সালে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আরও অনেক রাজনীতিবিদের মত কামরানকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। সে সময় জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা কামরান কারাগারে থেকে নির্বাচন করেও বিপুল ভোটে জয়ী হন।
২০১৩ সালের নির্বাচনে আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে হেরে গিয়ে মেয়র পদ হারান কামরান। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি লড়েছিলেন, কিন্তু জয়ী হতে পারেননি।
১৯৮৯ সাল থেকে সিলেট শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ২০০২ সালে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হন কামরান। সেই দায়িত্ব তিনি সামলেছেন প্রায় দেড় যুগ। ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদ পান কামরান। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এ পদে দায়িত্বপালন করেছেন।




