‘যতক্ষণ পর্যন্ত ফিলিস্তিন স্বাধীন না হবে ততক্ষণ বাংলাদেশ ইসরাইলকে গ্রহণ করবে না।’
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১০ জুন ২০২১, ৮:০৭:১৩ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক : ‘ফিলিস্তিনের সঙ্গে বাংলাদেশের আত্মার আত্মীয়তার সম্পর্ক। এ বন্ধন ছিন্ন হওয়ার নয়। যতক্ষণ পর্যন্ত ফিলিস্তিন স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বীকৃতি না পাবে, ততক্ষণ বাংলাদেশ কোনোভাবেই ইসরাইলকে গ্রহণ করবে না।’ বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির পক্ষ থেকে ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদানের কাছে জরুরি ওষুধ সামগ্রী হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, শুধু সরকার নয়, আমাদের দেশের মানুষেরও ফিলিস্তিনের প্রতি যথেষ্ট সহানুভূতি রয়েছে। ফিলিস্তিন আমাদের বড় বন্ধু। আমাদের জাতির পিতার সময় থেকে ফিলিস্তিনের জনগণের সঙ্গে আমাদের সরকার এবং জনগণের আত্মার সম্পর্ক। যতদিন স্বাধীন সার্বভৌম ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠিত না হবে ততদিন আমরা তাদের সঙ্গে আছি।
একদিন ফিলিস্তিন একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হবে আশা প্রকাশ করে ড. মোমেন বলেন, ইসরাইল বারবার আমাদের অ্যাপ্রোচ করেছে। ফিলিস্তিন ভাইদের ওপর অত্যাচার বন্ধ না হওয়া অবধি আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ওদের স্বীকৃতি দেব না।
১৯৬৭ সালের আইন অনুযায়ী ফিলিস্তিন ও ইসরাইল রাষ্ট্রের সীমানা অনুসারে বাংলাদেশ দুই রাষ্ট্রের সমাধান চেয়ে আসছে বলে জানান মন্ত্রী মোমেন। চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দেশকে সরকারি সাহায্য পাঠানো হয়েছে। ফিলিস্তিনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জনগণও অনুভূতির জায়গা থেকে দেশটির জন্য সাহায্য পাঠাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা করোনার মধ্যে অন্য দেশগুলোকে সরকারি সাহায্য পাঠিয়েছি। কিন্তু ফিলিস্তিনের ক্ষেত্রে সরকার এবং জনগণ সাহায্য পাঠাচ্ছে।’
বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনকে ১৪০০ কেজি ওষুধ দেয়া হচ্ছে। এসব ওষুধের মূল্য ৪০ লাখ টাকা।
এদিকে ইসরাইল ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর যে হামলা করেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটি কঠিন সময় পার করছে বলে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত রামাদান সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, কঠিন সময়ে ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে থাকায় বাংলাদেশের মানুষ ও সরকারকে কখনও ভুলব না। রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার মতো শব্দ আমার কাছে নেই। আমরা এই সহযোগিতার কথা কখনও ভুলব না। আর এটাই হচ্ছে আমাদের দু’দেশের জনগণের গভীর সম্পর্ক। গত ৫০ বছর ধরে আমাদের সম্পর্ক আরো দূঢ় হচ্ছে। দেশটির জন্য আরো জরুরি ওষুধ প্রয়োজন বলেও জানান রাষ্ট্রদূত রামাদান।
বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রির সাধারণ সম্পাদক এসএম শফিউজ্জামান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।




