জনপ্রতিনিধি হয়ে তরুণদের নৈতিক অবক্ষয় রোধসহ সকলের কল্যাণে কাজ করতে চাই: এডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জুন ২০২১, ১:৫৩:৩৮ অপরাহ্ন
অনুপম প্রতিবেদক: সিলেট-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী আব্দুর রকিব মন্টু বলেন, তিনি তরুণ সমাজের নৈতিক অবক্ষয় রোধ করতে চান, তাদের সার্বিক উন্নয়ন চান। তারা যাতে সন্ত্রাসে, দুর্নীতিতে, জঙ্গিবাদে জড়িয়ে জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট না করে সে চেষ্টা করছেন এবং আরও প্রবলভাবে করে যেতে চান। তিনি বলেন, নারীর সম্মান ও অধিকার সুরক্ষায় তার প্রচেষ্টা আছে। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলে এসব কাজ সম্পন্ন করার শক্তি বেশি পাবেন। না পেলেও এসব কাজে অবিচল থাকবেন।
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোরের সাথে আলাপকালে সাবেক সহকারী অ্যাটর্নী জেনারেল, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা সিলেট-৩ আসনের নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী এডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু উপরোক্ত কথাগুলোসহ আরও বলেন, তিনি এ নির্বাচনী এলাকার নির্বাচিত প্রতিনিধি হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসাগুলো সুযোগ্য মানুষের হাতে পরিচালিত হয় যাতে সে চেষ্টা করবেন। তিনি বলেন প্রবাসীরা যাতে দেশে এসে প্রিয়জনদের সাথে, জন্মভূমির মানুষের সাথে আরামে ছুটি কাটিয়ে যেতে পারেন, সে-লক্ষ্যে কাজ করতে আগ্রহী।
এডভোকেট আবদুর রকিব মন্টুর মতে, নেতার কাছে জনগণের দায়বদ্ধতা নয়, নেতা হলেন দলের কর্মী এবং জনগনের কাছে দায়বদ্ধ, এমন নেতা মনোনীত করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, এ অঞ্চলের হাওড় নদী রাস্তার উন্নয়ন কারও একার কাজ না, সিলেটের পাঁচ জন মন্ত্রী আছেন কেবিনেটে। সকলে মিলে একটা মাস্টার প্লানের মাধ্যমে উন্নয়নের কাজগুলো করা দরকার।
তিনি বলেন, সব সময়ই দেশপ্রেমকে বুকে ধারন করে রাষ্ট্রের পক্ষে, সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে, জনকল্যাণের পক্ষে কাজ করার জন্য নিজেকে নিয়োজিত রাখার চেষ্টা করেছি। সুযোগ পেলে ভবিষ্যতেও নিজ এলাকা সিলেট-৩ সংসদীয় আসন এবং সিলেটবাসীর কল্যাণে আরো ব্যাপক পরিসরে কাজ করতে চাই। তিনি বলেন আমার নেত্রী, বঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এবং দলীয় মনোনয়ন বোর্ড আমাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করলে আমি আমার সর্বশক্তি দিয়ে দেশ এবং জনগণের সেবায় একজন কর্মী হিসেবে নিজেকে নিবেদন করতে চাই। এ ক্ষেত্রে তিনি সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি জানান, পেশায় একজন আইনজীবী হিসেবে সরকার মনোনীত একজন সহকারী অ্যাটর্নী জেনারেল হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্বপালন করার সুবাধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত ১৫ আগষ্ট জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা মামলা, জাতীয় চার নেতা অর্থাৎ জেলহত্যা মামলা সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলো রাষ্ট্রপক্ষে বিশ্বস্ততার সঙ্গে পরিচালনা করার সুযোগ আমি পেয়েছি।
এডভোকেট মন্টুর মতে, যোগ্য নেতৃত্বের অভাব ও কিছু নেতার অপরিচ্ছন্ন রাজনীতির কারণে আমাদের যুবসমাজের বিপর্যয় ঘটছে। তাদেরকে সুপথে ফিরিয়ে আনতে আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের আরো বিচক্ষণ ও দূরদর্শী হতে হবে। চর্চাভিত্তিক রাজনীতির পথ তৈরি করে রাজনীতিকে আরো পরিচ্ছন্ন করতে হবে।
তিনি বলেন, রাজনীতির কারণে আমাদের সমাজে সালিশি বিচারের হার কমে গেছে। আগে ছোটখাটো সমস্যা হলে সামাজিকভাবে মীমাংসা করা হতো। কিন্তু এখন একটা ছোট্ট সমস্যা হলেই রাজনীতি শুরু হয়ে যায়। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত সেই মামলা পৌঁছায়। ফলে আদালতে মামলার জট কমছে না। তিনি বলেন, সমাজের এসব অসঙ্গতি দুর করতে ও আমার নিজের এলাকার মানুষের সমস্যার সমাধানে আমি আমার অবস্থান থেকে কাজ করছি। জনপ্রতিনিধি হয়ে আরো কাছে এসে সকলের সাথে, সকলের কল্যাণে কাজ করতে চাই। সেজন্য ২০০৮, ২০১৪ ও সর্বশেষ ২০১৮ সালে আমার নিজ এলাকা সিলেট-৩ আসনে (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) সংসদ সদস্য নির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু (নেত্রী) শেখ হাসিনা আমাকে পরবর্তীতে মনোনয়ন দেবেন বলে আশ্বস্থ করেছিলেন।
কিন্তু আমাদের সাবেক সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস সম্প্রতি অকালে মৃত্যুবরণ করায় বর্তমানে সাংবিধানিকভাবে এই আসন শূন্য হয়ে গেছে। তাই এখানে আমি নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপ্রত্যাশী। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে সুযোগ দিলে আমি নির্বাচন করব। শিক্ষা দীক্ষা ও পারিবারিক অবস্থার বিবেচনায় মানুষ আমাকেই নির্বাচিত করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু সাবেক সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কার্যনির্বাহী কমিটি বর্তমান ও সাবেক দুবারের সদস্য, তাছাড়া তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ এ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
১৯৮৪ সাল থেকে ছাত্রলীগের কাজ করার মধ্যদিয়ে আব্দুর রকিব মন্টু’র রাজনীতির সূচনা হয় । বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত জাতীয় ক্রীড়াবিদ আলহাজ্ব বশির আলীর সন্তান মন্টু ও আব্দুর রহিম বাদশাসহ তাদের ছয় ভাই বোন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত এবং জাতীয় পর্যায়ে খেলাধুলায় স্বর্ণপদক প্রাপ্ত। ভাই বোনেরা সবাই লেখাপড়ায় গ্র্যাজুয়েট। অ্যডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু ফেঞ্চুগঞ্জ এনজিএফএফ স্কুল থেকে এসএসসি, সিলেট সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (অনার্স) এল এল এম ডিগ্রী লাভ করেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে প্যারা লিগ্যাল কোর্স সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি আইন পেশায় যোগ দেন। বাংলাদেশের সহকারী এটর্নি জেনারেল হিসেবে দীর্ঘ ১০ বছর সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।