এডিবি-র ঋণ ও সরকারি তহবিলে হচ্ছে ঢাকা—সিলেট চার লেন, ভূমি অধিগ্রহণ শুরু
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০১ জুন ২০২১, ১:১৭:৪৩ অপরাহ্ন

ঢাকা—সিলেট চার লেন মহাসড়ক বাস্তবায়ন হলে সম্ভাব্য রূপ হবে এ রকম
অনুপম ডেস্ক : অবশেষে এডিবি-র ঋণ ও সরকারি তহবিলের টাকায় হবে ঢাকা—সিলেট চার লেন মহাসড়ক। ইতিমধ্যেই ভূমি অধিগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদনের প্রায় দুই মাসের মাথায় ভৌত কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ২১০ কিলোমিটার মহাসড়ক উন্নয়নের কাজ ১৩টি অংশে ভাগ করে করা হবে। এর মধ্যে ঢাকার কাঁচপুর থেকে নরসিংদীর বিসিক অংশ পর্যন্ত উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর। একে একে এভাবে সব অংশের কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে।
প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার ৯১৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১৩ হাজার ২৪৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক- এডিবি। বাকি অর্থের জোগান হবে সরকারি তহবিল থেকে। সূত্র জানায়, সওজ অধিদফতর এডিবির সঙ্গে ঋণচুক্তির প্রস্তুতি নিচ্ছে। ঠিকাদার নিয়োগের জন্য নথিপত্র এডিবির ম্যানিলার প্রধান দফতরে পাঠানোর পর সংস্থাটির অনুমোদন নিয়ে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হবে।
সওজ অধিদফতরের প্রকল্প কার্যালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, ঠিকাদার নিয়োগ চূড়ান্ত করতে কমপক্ষে আট মাস সময় লেগে যাবে। আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকের মধ্যে প্রকল্পের ভৌত কাজ শুরু হবে। এজন্য ভূমি অধিগ্রহণ শুরু হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেটে অধিগ্রহণের কাজ চলছে। তবে, সিলেট ও হবিগঞ্জে ‘প্রক্রিয়াগত জটিলতা’র মুখে পড়তে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের বলে জানা গেছে।
২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর। এখানে আলাদা সার্ভিস লেন থাকবে। ছোট-বড় সেতু থাকবে ৭০টি। থাকবে পাঁচটি রেলওয়ে ওভারপাস।
বিদ্যমান মূল সড়কের উভয় পাশে ধীরগতির যান চলাচলের জন্য আলাদা সার্ভিস লেন থাকবে। সড়কে যান চলাচল করতে পারবে ৮০ কিলোমিটার গতিতে। এশীয় মহাসড়ক, বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক) করিডর, দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) করিডরসহ আঞ্চলিক সড়ক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে এ প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
জানা যায়, সিলেট—১ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন প্রকল্পটি বাস্তবায়নে জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে থেকে সিলেটবাসীকে প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতিও দেন। তার মতে, এটি তার (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) স্বপ্নের প্রকল্প। প্রকল্পের অগ্রগতির ব্যাপারে বলেন, কিছুদিন আগে প্রকল্প পরিচালককে ডেকে এ বিষয়ে কথা বলেছি। তিনি (প্রকল্প পরিচালক) বলেছেন, ঢাকাপ্রান্ত থেকে জোরেশোরে কাজ শুরুর প্রক্রিয়া চলছে। নারায়ণগঞ্জসহ পাশের বিভিন্ন এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণ শুরু হয়েছে।




