‘ডাউকি ফল্ট খুব সক্রিয়, সিলেটে আতংক দূর করতে ভূমিকম্পের মহড়ার দরকার’
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ মে ২০২১, ৮:৩৯:০৯ অপরাহ্ন
অনুপম ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত আর্থ অবজারভেটরির পরিচালক ভূতত্ত্ববিদ অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, ১৯২২ সালে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল হবিগঞ্জ অঞ্চলে; ১৯১৮ সালেও ৭.৫ মাত্রার হয়েছিল। চার বছরের ব্যবধানে বড় ভকম্পন ছিল শত বছর আগে। এক মাস আগে ডাউকি ফল্টেরই উত্তর প্রান্তে আসাম সীমান্তে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। তার মানে এ ‘ডাউকি ফল্ট খুব সক্রিয়’।
“ডাউকি ফল্ট ও টেকনাফ সাবডাকশন জোনে হাজার বছর ধরে যে পরিমাণ শক্তি ক্রমান্বয়ে সঞ্চয় হয়ে আসছে, তাতে আট মাত্রার অধিক ভূকম্পন সংগঠিত করতে পারে। এ শক্তি একবারেও বের হতে পারে; আবার আংশিক বের বের হতে পারে। সেটা আমরা বলতে পারি না।
এ অধ্যাপক বলেন, “ঝুঁকি রয়েছে, সেজন্য আমরা হুমকির মুখেও রয়েছি। ভূমিকম্পের দুর্যোগ মোকাবেলায় মানসিক প্রস্তুতি দরকার। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে মহড়া ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে।
“অনেক বছর আগে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এটা চলমান রাখতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা- মহড়া প্রতিবছর করতে হবে।”
ভূমিকম্পের ঝাঁকুনির ফলে সিলেট শহরে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। অনেকেই উঁচু ভবন থেকে রাস্তায় নেমে আসেন। কেউ কেউ ভয়ে নিরাপত্তার কথা ভেবে শহুরে কংক্রিটের দালান ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন বলেও খবর এসেছে গণমাধ্যমে।
অধ্যাপক হুমায়ুন বলেন, সিলেটে মহড়া করা থাকলে এমন আতঙ্ক বিরাজ করতো না। করোনায় যেমন মাস্ক আবশ্যক, ভূমিকম্পের সচেতনতায় মহড়াও তেমন আবশ্যক।