যে কারণে ধ্বংসস্তুপের মাঝে রক্তাক্ত ফিলিস্তিনিদের বিজয় মিছিল
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২১ মে ২০২১, ১:৩০:৪৭ অপরাহ্ন
অনুপম ডেস্ক: চতুর্দিকে ধ্বংসস্তুপ ও রক্তের দাগ সত্বেও গাজা শহরে ভোররাতে প্রধান সড়কগুলোতে সাময়িক বিজয় মিছিলে অংশ নেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। বিজয় এ কারণে যে বিশ্বের সুপার পাওয়ার কয়েকটি দেশের সমর্থনপুষ্ট ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে আসতে বাধ্য হয়েছে। যদিও এ বিরতি শর্তহীন। অর্থাৎ পর্দার আড়ালের কথাটি ‘তুমি মারলে আমিও মারবো’ এমন সমান্তরাল অবস্থান রেখেই যুদ্ধবিরতি হল; অর্থাৎ মসজিদুল আকসায় ইসরায়েলের সৈন্য ঢুকে বেয়াদবি করলে বা শেখ জারাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনি উচ্ছেদ করা শুরু করলে চুপ থাকবে না হামাস। গাজা উপত্যকায় টানা ১১ দিন ভয়াবহ হামলা চালানোর পর অবশেষে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিস থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা বন্ধের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয় গত রাত ২টার দিকে। নেতানিয়াহুর অফিসের ঘোষণার আগে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে তারা নিজেরা সম্মত হয়।
মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে বলা হয়, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে মিশর, তবে এই যুদ্ধবিরতি হবে ‘দ্বিপক্ষীয় ও শর্তহীন’। হামাস এবং ইসলামী জিহাদও যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। হামাস ও ইসরায়েলের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দিবাগত রাত ২টা এবং বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টা থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ২৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজার বিশাল এলাকা। অন্যদিকে হামাসের রকেট হামলায় প্রাণ গেছে ১২ ইসরায়েলিরও।
অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রসজ্জিত ষোলআনা নিবেদিতপ্রাণ বিশাল চৌকষ বাহিনী এবং আমেরিকা, বৃটেন, ফ্রান্সের সমর্থনপুষ্ট যায়নবাদি বর্ণবাদি রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এক অবরুদ্ধ জনগোষ্ঠী ফিলিস্তিনিদের সাথে লড়াই বন্ধ করতে সম্মত হওয়া ফিলিস্তিনিদের বিজয়ই বটে।
গাজা শহরকে কিছুদিনের মধ্যে গাজাবাসীরা সাজিয়ে তুলবেন। সুন্দর শহরটি বিমান আক্রমণের আগে (উপরে তিন নম্বর ছবি) ছিমছাম ছিল। তারা ভেঙ্গে যায়, ওরা আবার গড়ে, এভাবেই চলছে তাদের জীবন পরম্পরা।