হামাস যুদ্ধবিরতিতে যাবে না, খেলা তাহলে কার হাতে—কী হতে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে?
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ মে ২০২১, ১১:৪৫:১৭ অপরাহ্ন
অনুপম প্রতিবেদক: ইরানের মদদপুষ্ট হামাস এবার তাদের সব দাবীকে এক পাশে রেখে দুটি দাবী সামনে নিয়ে এসেছে। সেগুলো হল, শেখ জারাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনি উচ্ছেদ বন্ধ করতে হবে এবং মসজিদুল আকসা ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করে দিতে হবে। এ দুই দাবী মানা হলে যুদ্ধবিরতিতে যাবে। না মানলে যাবে না। এতো অনড় অবস্থানে পৌঁছে গেল কেমনে হামাস? তারা ইতোমধ্যে জানিয়েছে টানা দুই মাস যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেপনাস্ত্র তাদের হাতে আছে। তাহলে মূল খেলা কি ইরানের হাতে? ইসরায়েলের প্রধান শত্রু কে মধ্যপ্রাচ্যে? একটু পেছনে দেখা যাক।
মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের তিন শত্রুদেশ সিরিয়া ইরাক ইরান। এই তিন দেশ যাতে নিউক্লিয়ার পাওয়ার অর্জন করতে না পারে, এ ব্যাপারে ইসরাইলের কড়া এসপিওনেজ তৎপরতা রয়েছে।
২০০৭ সালে সিরিয়ার নিউক্লিয়ার সাইটে, যেটি প্রগ্রেসিভ ছিল উত্তর কোরিয়ার সহায়তায়, এক রাতেই এফ ১৫ ও এফ ১৬ দ্বারা ২৪ টন বোমা ফেলে ধ্বংস করে দিয়েছিল। বেশ কয়েক বছর পর ইসরাইল তা স্বীকার করেছিল। তার আগে ১৯৮১ সালে ইরাকের নিউক্লিয়ার প্লান্ট ইসরাইল ধ্বংস করেছিল।
ইরাক আর সিরিয়া তো এখন মরাপ্রায় দেশ। বাকী শক্তিশালী শত্রু ইরান। ইসরায়েল এরিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, ইসরায়লকে মুছে ফেলতে চায় যে দেশ, তাকে নিউক্লিয়ার পাওয়ারের অধিকারী হতে দিবে না ইসরায়েল। ১৪ মে ২০১৯ জেরুসালেম পোস্টের চিফ এডিটর ইয়াকভ কাতজ ওয়াশিংটন পোস্টে লিখেছিলেন— “It’s up to Israelis to stop Iran’s nuclear program”. তিনি লিখেছেন তারা কেমনে করবে সেটা তারা ভাল জানে, আগে যেভাবে করেছে।
আমেরিকা হুমকি-ধমকি দিয়ে তার ব্যবসা করার ধান্দায় আছে, যুদ্ধে জড়াবার সম্ভাবনা কম। কারণ এতে আমেরিকার ক্ষতি হবে বেশুমার।
যদি ইরানের নিউক্লিয়ার সাইটে ইসরাইল হামলা করে, ইরান যদি সেরকম জবাব দ্যায় পাল্টা, মধ্যপ্রাচ্যের অবস্থা তো বরবাদ হবে। ইসরাইল চুরি করেই মারবে আগের অপারেশনের মতো। কেউ ধরতে পারবে না কে মারলো। সিরিয়ার সাইটে ২৪ টন বোমা ফেলেছিল। এক যুগ পর ইসরাইল স্বীকার করায় জানা গেল। তার আগে সিরিয়া নিশ্চিত হতে পারে নি। তবে হ্যাঁ, সিরিয়ার হাফিজ আল আসাদকে হাতে নিয়েই গোলান মালভূমি ইসরাইল দখল করেছিল। মানে সিরিয়া ‘নরম শত্রু’ ইসরাইলের, এখন ধ্বংসস্তুপ প্রায়।
সুতরাং ইরানের প্রক্সি যুদ্ধ কতটুকু এগিয়ে যেতে পারবে সেটাই দেখার বিষয়। সূত্র: মিডলইস্টমনিটর, ডয়েচে ভেলে, রয়টার্স, জেরুজালেম পোস্ট।