হেফাজতের নতুন কমিটি মানেন না শফীপূত্র আনাসের পক্ষের আলেমরা
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ এপ্রিল ২০২১, ৩:২০:৩৮ অপরাহ্ন
অনুপম ডেস্ক: হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আগের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। প্রথমে তিন সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে রোববার রাতে হেফাজত নেতারা ফেসবুক লাইভে এসে আরও দুই নেতার নাম প্রকাশ করেন।
এই ৫ জনের বাইরে আরও কয়েকজনকে আহ্বায়ক কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
কিন্তু ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি মানেন না হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা আমির আল্লামা শফির পুত্র আনাস ও তার পক্ষের আলেমগণ। তারা বলছেন, শিগগিরই হেফাজতের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে।
হেফাজত ইসলামের আগের কমিটির যুগ্ম মহাসচিব (আহমদ শফীপন্থী) মঈনুদ্দীন রুহী বলেন, শিগগিরই তারা আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করবেন। সেখানে বিতর্কিতদের বাদ দেওয়া হবে। বাবুনগরীকে আহবায়ক করে নতুন কমিটির বিষয়ে তিনি বলেন, এই বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত জানাবেন। এটি কমিটি হয়নি।
গত বছরের ১৫ নভেম্বর জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমির করে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট হেফাজতের কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেখানে হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা আমির আহমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানীর অনুসারী কাউকে রাখা হয়নি। এরপর থেকে তারা এই কমিটিকে অবৈধ ঘোষণা করে নতুন কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়ে আসছেন।
গত মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ–সহিংসতার পর হেফাজতের নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার অভিযান চলছে। বিক্ষোভ–সহিংসতার ঘটনায় দেশের বিভিন্ন জেলায় হেফাজতের নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত ৭৯টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৬৯ হাজারের বেশি জনকে আসামি করা হয়েছে।
এসব মামলায় প্রতিদিনই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতের নেতা–কর্মী ও সমর্থকেরা গ্রেফতার হচ্ছেন। এর মধ্যে রোববার পর্যন্ত সংগঠনটির কেন্দ্রীয় ও গুরুত্বপূর্ণ ১৯ জন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন সংগঠনের অন্যতম দুই শীর্ষ নেতা অধ্যাপক আহমদ আবদুল কাদের ও মামুনুল হক। এই পরিস্থিতিতে কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক সংগঠনটির কমিটি বিলুপ্তির ঘোষণা দিলেন বাবুনগরী।
২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশ–সহিংসতা করে আলোচনায় আসে হেফাজতে ইসলাম। পরবর্তীতে নানা ইস্যুতে মাঠে থাকে সংগঠনটি। বছর দুয়েক আছে সংগঠনের নেতাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়। বাবুনগরীর নেতৃত্বে একটি গ্রুপ কাজ করে। আর শফির ছেলে আনাসকে ঘিরে আরেকটি বলয় সৃষ্টি হয়। আল্লামা শফির মৃত্যুর পর বাবুনগরীকে আমির করে হেফাজতের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটি প্রত্যাখ্যান করে আনাসপন্থীরা। এবার আহ্বায়ক কমিটিও প্রত্যাখ্যান করল তারা।