জো বাইডেন প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে আসছেন বৃটেনে সম্পর্ক ঠিক করতে
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ এপ্রিল ২০২১, ২:৫৭:২৫ অপরাহ্ন
কখনও কখনও ইউরোপ এবং আমেরিকার মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন হয়। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বৃটেনের রাষ্ট্রদূত ট্রাম্পের সমালোচনা করে যে কূটনৈতিক বার্তা প্রেরণ করেছিলেন, তা ফাঁস হওয়ায় তিনি ২০১৯ সালে আমেরিকা ত্যাগ করেছিলেন।
সারওয়ার চৌধুরী: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রথম বিদেশ সফরে যুক্তরাজ্য এবং বেলজিয়াম ভ্রমণ করবেন বলে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জেন পিসাকি বলেছেন, জুন মাসের এই সফরের লক্ষ্য ‘জোট সম্পর্ক পুনরুদ্ধার, ট্রান্স-আটলান্টিক সম্পর্কের পুনরুজ্জীবন এবং আমাদের সহযোগীদের সাথে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় কাজ করার প্রতিশ্রুতি তুলে ধরা’।
তার এ সফরের সময়, মিঃ বাইডেন ১১—১৩ জুন তারিখে অনুষ্ঠিতব্য কর্নওয়ালের জি ৭ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন। সেখানে তিনি বরিস জনসন এবং অন্যান্য জি ৭ নেতাদের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি এবং জাপানের পাশাপাশি মিঃ জনসন অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
মার্কিন এ নেতা তারপর ১৪ জুন ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ব্রাসেলস ভ্রমণ করবেন।
হোয়াইট হাউসের এই ঘোষণা এলো যখন মিঃ বিডেন বিশ্বব্যাপী জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক হওয়ার সিদ্ধান্ত দিলেন। এ সিদ্ধান্ত এটাই বোঝাচ্ছে যে পরিবেশগত প্রচেষ্টাতে নতুন করে মার্কিন ব্যস্ততা রয়েছে। বাইডেন ২০৩০ সালের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ অর্ধেক করার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক হতে যাচ্ছেন।
কেউ কেউ মনে করেন মিঃ বাইডেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরে বিশ্ব নেতা হিসাবে তার দেশের অবস্থান পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছেন। কেননা, কখনও কখনও ইউরোপ এবং আমেরিকার মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন হয়।
উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বৃটেনের রাষ্ট্রদূত ট্রাম্পের সমালোচনা করে যে কূটনৈতিক বার্তা প্রেরণ করেছিলেন, তা ফাঁস হওয়ায় তিনি ২০১৯ সালে আমেরিকা ত্যাগ করেছিলেন।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি এমানুয়েল ম্যাক্রোন এবং জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের সাথে মিঃ ট্রাম্পের মজবুত সম্পর্ক ছিল।
এটাও উল্লেখ্য যে, রাশিয়ার পক্ষ থেকে ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে সেনা ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পরে ন্যাটোর এই শীর্ষ সম্মেলন হতে যাচ্ছে।
ডোনবাসের কাছে কয়েক হাজার রাশিয়ান সেনা জড়ো হওয়ার পরে ক্রিমিয়ায় যুদ্ধ লাগার সম্ভাবনা দেখা দিলে এ অঞ্চলে উত্তেজনা বেড়ে যায়।
২০১৪ সালে রাশিয়া উপদ্বীপটি নিয়ে যায় এবং তখন থেকেই ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াইরত মিলিশিয়াদের সমর্থন দিয়ে আসছে রাশিয়া।
সূত্র: স্কাই নিউজ, আলজাজিরা, রয়টার্স