২০ মণ ‘সাদা সোনা’ দিয়েও মিলে না এক বস্তা চাল
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১২ এপ্রিল ২০২১, ১:৪৮:২১ অপরাহ্ন
অনুপম ডেস্ক: দেশের বেশির ভাগ লবন উৎপাদন হয় কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলায়। উত্তর নলবিলার মাঠ ভরপুর লবনে। এখন বেচা-বিক্রি তেমন নেই। বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী বিখ্যাত মিষ্টিপান ও লবণের জন্যে। এখানকার লবণ কক্সবাজারের অন্য উপকূলে উৎপাদিত লবণের তুলনায় উন্নত, অর্থাৎ লবণাক্ততার পরিমাণ বেশি। ফলে দামেও চড়া। একসময় চড়া মূল্যে বিক্রি হওয়ায় স্থানীয় ব্যক্তিরা লবণকে ‘সাদা সোনা’র সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।
কিন্তু করোনা মহামারির কালে এসে জৌলুশ হারিয়েছে মহেশখালীবাসীর সাদা সোনা। ২০ মণ লবণ বিক্রি করে এখন এক বস্তা চাল কিনতে পারছেন না চাষিরা। তাছাড়া লবণ বেচে বিনিয়োগের টাকা তুলতে না পারায় গুনতে হচ্ছে লোকসান। অথচ প্রচণ্ড গরমে এবার লবণের ভালোই উৎপাদন হয়েছে। এখন কালবৈশাখীর ঝড়–বৃষ্টিতে মাঠের লবণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় চাষিরা।
প্রান্তিক পর্যায়ে বাজারের এমন অবস্থার জন্য ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বড় ব্যবসায়ীদের দায়ী করেন কক্সবাজারের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। আবার কতিপয় প্রভাবশালী শিল্পের কাঁচামাল আমদানির নামে সোডিয়াম সালফেট এনে বাজারজাত করায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন চাষি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।