করোনাভাইরাস বিশেষজ্ঞ ডা. ফাহিম ইউনুস বললেন যা যা করলে করোনা সংক্রমণ হয় না
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১২ এপ্রিল ২০২১, ৯:২৯:০২ অপরাহ্ন
অনুপম প্রতিবেদক: হাত ধোয়া, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ও ভিড়ের মধ্যে মাস্ক পরাই সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা পেতে হলে। জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. ফাহিম ইউনুস। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি করোনা বিশেষজ্ঞ পরিচিত। তিনি বলেন, বারবার গরম পানি পান করা, গ্লাভস পরে থাকা বা গোসল করা সংক্রমণ ঠেকাতে পারে না। সম্প্রতি এক টুইট বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন আমেরিকার মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ ক্লিনিকের প্রধান ডা. ফাহিম ইউনুস। ২০ বছর ভাইরাস নিয়ে কাজ করা এ চিকিৎসক পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি করোনা নিয়ে টুইটারে নিয়মিত বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরছেন।
তিনি বলেন, আগামী কয়েক মাস বা বছর ধরে কভিড-১৯ এর সঙ্গে আমাদের থাকতে হতে পারে। এ নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে জীবনটাকে আমরা যেন জটিল না করে তুলি। বরং এই বাস্তবতার সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে বাঁচার উপায় জানতে হবে।
ডা. ফাহিমের পরামর্শগুলো হলো:
১. করোনাভাইরাস প্রতিরোধে অনেকেই বারবার গরম পানি পান করেন। কিন্তু কোষের দেয়ালগুলোতে প্রবেশ করা করোনাভাইরাসকে গরম পানি দিয়ে ধ্বংস করা যায় না। সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, দুই মিটার দৈহিক দূরত্ব বজায় রাখা ও ভিড়ের মধ্যে মাস্ক পরাই করোনা থেকে সুরক্ষার সেরা পদ্ধতি।
২. করোনা রোগী না থাকলে বাড়ি বারবার জীবাণুমুক্ত করার দরকার নেই।
বাজার থেকে আনা ব্যাগ, গ্যাস স্টেশন, শপিং কার্ট এবং এটিএম সংক্রমণ সৃষ্টি করে না। হাত ধুয়ে নিন, স্বাভাবিক জীবনযাপন করুন।
৩. খাদ্যের মাধ্যমে করোনা সংক্রমিত হয় না। এটি ফ্লুর মতো সংক্রামক ফোঁটাগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই খাবার অর্ডার দিয়ে করোনা সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি নেই।
৪. ঘরে ফিরে সঙ্গে সঙ্গেই পোশাক পরিবর্তনেরও দরকার নেই এবং গোসল করতে হবে না। তবে অবশ্যই হাত ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
৫. করোনাভাইরাস বাতাসে উড়ে বেড়ায় না। ঘরে বসে না থেকে বাইরে হাঁটতে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
৬. হাত ধোয়ার ক্ষেত্রে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সাবানের দরকার নেই। করোনা ব্যাকটেরিয়া নয়, ভাইরাস। তাই সাধারণ সাবান ব্যবহারই যথেষ্ট।
৭. দীর্ঘক্ষণ একটানা মাস্ক পরলে অক্সিজেনের স্তরে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই মাস্ক শুধু লোকসমাগম ও ভিড়ের মধ্যে পরতে হবে।
৮. করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গ্লাভস পরা মোটেও কার্যকরী কোনো উপায় নয়। গ্লাভস ভাইরাসের সংস্পর্শে আসতে পারে এবং সেটি দিয়ে মুখ স্পর্শ করলে করোনায় সংক্রমিত হতে পারেন। ভাইরাস থেকে দূরে থাকতে সাবান দিয়ে হাত ধোয়াই সবচেয়ে কার্যকরী উপায়।
৯. ড্রপ সংক্রমণ জুতার মাধ্যমে ছড়ায় না। তাই জুতার মাধ্যমে করোনাভাইরাস বাসায় নিয়ে আসার ঝুঁকি নেই বললেই চলে।
১০. ভিনেগার, আখের রস এবং আদা সেবন করে ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়া যায় না। এগুলো শুধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় যা সংক্রমণ হলে ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সক্ষমতা বৃদ্ধি করে।