বাংলাদেশ হবে বিশ্বের বুকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ: প্রধানমন্ত্রী
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ মার্চ ২০২১, ৯:০৩:২৫ অপরাহ্ন
অনুপম ডেস্ক রিপোর্ট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ হবে বিশ্বের বুকে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। মানুষ যেন উন্নত জীবন পায়- জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল এই। আসুন জাতির পিতার ১০১ জন্মদিনে আমরা সেই প্রতিজ্ঞা নিই,জাতির পিতা যে স্বপ্ন দেখেছেন আমরা সেটা পূরণ করব।
শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘মুজিব চিরন্তন’ উৎসবের তৃতীয় দিনের অনুষ্ঠান তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসেও অংশ নিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, শ্রীলঙ্কা আমাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে শ্রীলঙ্কা সম-মনোভাব পোষণ করে। বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে শ্রীলঙ্কার জনগণের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানায়। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের সৌহার্দ্য অটুট থাকবে।
অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজের জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। এ দেশের মানুষের প্রতি সবসময় তার আলাদা ভালোবাসা ও দায়িত্ব ছিল। তার পিতামাতা সবসময় তাকে সহযোগিতা করেছেন। আমার মা সবসময় তাকে প্রেরণা জুগিয়েছেন। কোনও কিছু চাহিদা ছিল না। এজন্যই বঙ্গবন্ধু তার সংগ্রাম এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছিলেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানসহ সব দিকে বাংলাদেশের মানুষ যেন উন্নত, সমৃদ্ধ জীবন পায়, যেটা জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল, যা তিনি সব সময়ই বলতেন। আসুন, জাতির পিতার এই ১০১তম জন্মদিন আর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা সেই প্রতিজ্ঞা নিই, জাতির পিতা যেই স্বপ্ন রেখে গেছেন, সেই স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করব।বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত, উন্নত, সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সোনার বাংলাদেশ, যে বাংলাদেশ জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, পঁচাত্তরের পর তার (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) স্বাধীনতার ঘোষণা, রেসকোর্সের ঐতিহাসিক বক্তব্য এবং ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। তার ভাষণ প্রচারে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা ছিল।কিন্তু সত্য ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না, তা আজ প্রমাণিত। সবাইকে আজ ধন্যবাদ জানাই। সবার সহযোগিতায় আজ আমরা সেই সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে পারছি। বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করতে পেরেছি। আমরা উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।
তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশ আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উন্নীত হতে পেরেছি। কাজেই এই বাংলাদেশে আজ জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমরা সরকারে থেকে উদযাপন করার সুযোগটা পেয়েছি বাংলাদেশের মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলাম বলে। তাদের (বাংলাদেশের মানুষ) প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।