বাসা-বাড়িতে ছাদ বাগান করলে ১০ শতাংশ হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ: এলজিআরডি মন্ত্রী
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ মার্চ ২০২১, ৭:০৩:২৮ অপরাহ্ন
অনুপম ডেস্ক রিপোর্ট : পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বাসা-বাড়ির ছাদে বাগান করলে ১০ শতাংশ হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করা হবে বলে। বুধবার (১৭ মার্চ) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও মিস্ট ব্লোয়ারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা জানান।
মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, যে সমস্ত বাসা-বাড়িতে ছাদে বৃক্ষ রোপন অর্থাৎ ছাদ বাগান করা হবে সে সমস্ত বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স দশ শতাংশ মওকুফ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এখন থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
মন্ত্রী বলেন, যে সমস্ত বাসা-বাড়িতে ছাদে বৃক্ষ রোপণ অর্থাৎ ছাদ বাগান করা হবে সে সমস্ত বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স দশ শতাংশ মওকুফ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এখন থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং দ্বিপক্ষীয় সুসম্পর্ক বজায় রাখায় বিশ্বাসী । আমাদের দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে সকল উন্নয়ন সহযোগী দেশ এবং সংস্থাকে আমরা স্বাগত জানাই।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা আমাদের দেশকে চিনি, আমার দেশের মাটি ও মানুষ, সংস্কৃতি, গাছপালা এবং পশু পাখিদের জানি। তাই উন্নয়ন প্রকল্প নির্বাচন, বাস্তবায়নে উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থার অর্থায়নের সময় আমাদের চিন্তা চেতনা এবং সিদ্ধান্তের সাথে সমন্বয় করে করা উচিত।
মন্ত্রী জানান, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করেন। এরপর দেশে ফিরে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ার জন্য সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং মাত্র সাড়ে তিন বছরে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনেন।
স্বাধীনতার পূর্বে এবং পরে দেশের অর্থনীতির পরিসংখ্যান তুলে ধরে মন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু দায়িত্ব গ্রহণের সময় দেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৯৪ ডলার। কিন্তু মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধু দেশের মাথাপিছু আয় ২৭৭ ডলারে উন্নীত করেন । শুধু তাই নয়, যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প-কলকারখানা, যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নসহ সকল খাতের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছিলো।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর দেশে আর সেভাবে উন্নয়ন হয়নি। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা প্রথম সরকার গঠন করার পর নতুন উদ্যমে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা শুরু হয়। কিন্তু ২০০২ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আবার উন্নয়নের ছন্দপতন ঘটলেও ২০০৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে দেশে অর্থনীতির দ্রুত প্রবৃদ্ধি শুরু হয়।
তিনি আরও বলেন, সরকার প্রথম ক্ষমতায় এসে মাত্র সাড়ে তিন বছরে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেন। এছাড়া, কৃষি, শিল্প কারখানা তৈরি, বিদ্যুৎ সরবরাহ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের উন্নয়ন এবং সামাজিক নিরাপত্তাসহ অনেকগুলো কর্মসূচি হাতে নেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ১০০ ডলারে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের এই অভূতপূর্ব উন্নয়নের কারণে বিশ্ব আজ বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে । বাংলাদেশের উন্নয়নের পথপরিক্রমা বিশ্ববাসীর কাছে অনুকরণীয় হয়েছে।
উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাহিদ ইজাহার খান, এমপি এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ।
অনুষ্ঠানে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাহিদ ইজাহার খান, এমপি এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। এছাড়া, গেস্ট অব অনার হিসেবে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র, ইতালী, জাপান, রাশিয়া, সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূত এসময় উপস্থিত ছিলেন।