বিয়ানীবাজার ক্যান্সার হাসপাতাল: শহিদুল ও স্ত্রী সন্তানের মুখে হাসি
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ মার্চ ২০২১, ১২:২৩:২৮ অপরাহ্ন
ফরহাদ হোসেন টিপু: বালাগঞ্জের পূর্ব-পৈলনপুরের মোঃ শহিদুল ইসলাম, স্ত্রী-সন্তানাদি নিয়ে আর্থিক অসচ্চল এই মানুষটির সংসার মোটামুটি ভালো চলেই যাচ্ছিল। কন্ঠনালীর সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের স্মরনাপন্ন হলে জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক জানান তার কন্ঠনালীতে মরন ব্যাধি ক্যান্সার বাসা বেধেছে, দ্রুতই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করতে না পারলে তাঁর বেচে থাকার আশা একেবারেই ক্ষীণ। পেশায় খুচরা মোরগ ব্যবসায়ী মানূষটির জীবনে অন্ধকার নেমে আসে।
যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বিয়ানীবাজার ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতালের অন্যতম আজীবন সদস্য সাইফুল আলম তার চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসেন । তিনি যুক্তরাজ্যস্থ বিয়ানীবাজার ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতালের হেড অফিস (ইউকে অফিস)-এ যোগাযোগ করেন এবং তিনি শহিদুল ইসলামকে সহযোগিতা প্রদানের পাশাপাশি হাসপাতাল কর্তৃক রোগীর চিকিৎসার জন্য সার্বিক সহায়তা কামনা করেন। বিয়ানীবাজার ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতালের ইউকে অফিস থেকে বাংলাদেশ অফিসে যোগাযোগ করলে তাঁরা রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে এসে ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করার পাশাপাশি তার চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থাও গ্রহন করেন।
বিয়ানীবাজার ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতালের সার্বিক তত্বাবদানে প্রায় সাত মাস ব্যাপী পরিচালিত চিকিৎসা সেবায় তিনি ৮ টি কেমোথেরাপি ও সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে ৩৩ টি রেডিও থেরাপি গ্রহন করেছেন। প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার এই চিকিৎসা সেবায় বিয়ানীবাজার ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতালের সাথে স্থানীয় অনেকেই সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেন। বর্তমানে শহিদুল ইসলাম তার ক্যান্সার চিকিৎসা পরবর্তি ফলো-আপ চিকিৎসা গ্রহন করছেন।
সকলের সযোগিতায় আজ একটি পরিবার তাঁদের হারানো হাসি ফিরে পাচ্ছেন এবং তার সন্তানদের উপর পিতার ছায়া সৃষ্টিকর্তার অশেষ দয়ায় এখনো বর্তমান রয়েছে।
মরন ব্যাধী ক্যান্সারে আক্রান্ত শত শত শহিদুল ইসলাম শুধুমাত্র সহযোগিতার অভাবে অকালে ঝরে যাচ্ছেন। আমরা সবাই মিলে একটু সহযোগিতা করলে অনেক মা তার সন্তান ফিরে পাবেন-অনেক সন্তান ফিরে পাবেন তাদের অভিভাবক।