প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে দ্বিতীয় ধাপে পাকা ঘর পাচ্ছে আরো এক লাখ গৃহহীন পরিবার
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১:৪৯:৪৪ অপরাহ্ন
অনুপম রিপোর্ট: ‘মুজিববর্ষে বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’- প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে দ্বিতীয় ধাপে আরও এক লাখ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাকা ঘর পাচ্ছে। ইতিমধ্যে ৫০ হাজার পরিবারকে আগামী এপ্রিলে এবং ৫০ হাজার পরিবারকে জুনে ঘর দেবে সরকার। এর আগে জানুয়ারিতে প্রথম ধাপে প্রায় ৭০ হাজার পরিবারকে ঘর উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঘর নির্মাণ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে আয়োজিত সমন্বয় সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় ভূমি সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. মোহসীন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মাহবুব হোসেনসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন প্রত্যেক বিভাগের কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া দ্বিতীয় ধাপে ৫০ হাজার নতুন ঘর নির্মাণ কাজ ৭ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন। ১৫ এপ্রিলের দিকে এই ঘরগুলো উদ্বোধন করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর পরবর্তী ৫০ হাজার ঘর হয়তো জুলাই মাসে উদ্বোধন করতে পারব।
ডিভিও কনফারেন্সে যুক্ত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, আরও উপকারভোগী চিহ্নিত করে আগামী ৭ দিনের মধ্যে আরও নতুন ঘর নির্মাণের প্রস্তাব পাঠাতে হবে। প্রস্তাব পাঠানোর ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে গুরুত্ব দিয়ে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে কাজ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মাহবুব হোসেন বলেন, এবারের নির্মাণাধীন ঘরের নকশায় ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ঘরপ্রতি ২০ হাজার টাকা বাজেট বাড়ানো হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে প্রতিটি ঘরের জন্য পরিবহন খরচসহ ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছিল। এবার তা বাড়িয়ে ১ লাখ ৯৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৯৭ হাজার টাকা করা হয়েছে।