চলচ্চিত্র ও নাটকে ধূমপান বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ৩:৩৩:৩৬ অপরাহ্ন
অনুপিম রিপোর্ট: চলচ্চিত্র ও নাটকে প্রধান চরিত্রসহ অন্যান্য চরিত্রে অভিনয়ের সময় শিল্পীদের ধূমপান এবং তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি ) বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি, মাদকবিরোধী সংগঠন ‘প্রত্যাশা’ এবং পপুলেশন ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (পিডিও) পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন বুধবার আদালতে এ রিট দায়ের করেন। রিটে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সচিব, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, তথ্য সচিব এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটকারী আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন লিংকন বলেন, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার সংক্রান্ত আইন থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা অকার্যকর। ফলে দেশে এ জাতীয় দ্রব্যের অবাধ ব্যবহার ও আইন লঙ্ঘনের মহোৎসব চলছে। এ জন্য প্রতিকার চেয়ে রিট করা হয়েছে।
আইনজীবী মনিরুজ্জামান আরো বলেন, আইনের ১৪ (২) ধারায় বলা হয়েছে, ‘কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগ ব্যতিরেকে কোনো আদালত এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ বিচারের জন্য গ্রহণ করিবে না।’ যা সংবিধানের ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি। কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পাশাপাশি ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে ক্ষতিগ্রস্তরাও যেন মামলা করতে পারেন এজন্য আইনের ১৪(২) ধারা সংশোধন চেয়েছি।
রিটে বলা হয়, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর- এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। রীতিমতো এ জাতীয় পণ্যের প্যাকেটের মোড়কেই ক্ষতির বিষয় উল্লেখ করা থাকে। যদিও ধূমপায়ীরা এসব ক্ষতি সম্পর্কিত বার্তা আমলে নেন না। এজন্য ধূমপান ও তামাক জাতীয় পণ্যের উৎপাদন উত্তরোত্তর বেড়েই চলছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এসব পণ্যের প্রচার-প্রচারণাও।
গত বছরের ১১ মার্চ ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫-এর ১৪(২) ধারা সংশোধন এবং আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। ওই নোটিশের জবাব না পেয়ে রিট করা হয়।