করোনা’র টিকা সহজলভ্য না থাকলে কী হবে তা নিয়ে ভাবছে যুক্তরাজ্য
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০২ জানুয়ারি ২০২১, ৭:৪৪:৪২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা’র নতুন সংক্রমণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়েছে। করোনা’র টিকার প্রয়োগ শুরু হয়েছে বেশ কয়েকটি দেশে। কিন্তু টিকা সহজলভ্য না থাকলে কী হবে তা নিয়ে ভাবছে যুক্তরাজ্য।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, কোনো প্রতিষ্ঠানের তৈরি টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পর কেউ যদি দ্বিতীয় ডোজের টিকা না পান, সে ক্ষেত্রে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় ডোজের টিকা বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে মিশ্র টিকা (মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ) প্রয়োগের কথা বলছেন তাঁরা।
করোনা’র নতুন সংক্রমণ ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছেন যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। তাঁরা যতটা সম্ভব বেশি মানুষকে টিকা দিতে চান। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে। স্থানীয় সময় গত শুক্রবার আগামী দুই সপ্তাহের জন্য লন্ডনের স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে জরুরি হিসেবে ফাইজার ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দেশটির বিজ্ঞানীরা বলছেন, একই প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত টিকা দিয়েই দুটি ডোজ শেষ করার চেষ্টা চালানো হবে। তবে যদি প্রথম ডোজটি কোন প্রতিষ্ঠানের নেওয়া হয়েছে তা জানা না থাকে অথবা সহজলভ্য না হয়, তাহলে বিকল্প টিকা দেওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য পণ্য দিয়ে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া যেতে পারে। উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের এভাবে টিকা প্রয়োগের সুপারিশ করেছেন যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা।
ফাইজারের মুখপাত্র স্টিভেন ডানেহি বলেন, বিকল্প টিকার ডোজ বিবেচনার বিষয়টি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের। ফাইজার মনে করে, সর্বোচ্চ সুরক্ষার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ টিকা কার্যকরের সিদ্ধান্ত নেবে।
ফাইজার এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা শরীরে স্পাইক নামক একটি প্রোটিন তৈরি করে। এটি নিজে সংক্রামক নয়, তবে করোনা’র শনাক্ত করতে প্রতিরোধক কোষগুলোকে সক্রিয় করতে পারে। তবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের টিকা বিভিন্ন উপায়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সব টিকার উপাদানও এক থাকে না। তাই যুক্তরাজ্যের এ সিদ্ধান্ত নিয়ে ধন্দ বেড়েছে।