বিএনপিকে শক্তিশালী বিরোধী দলের ভূমিকায় দেখতে চায় সরকার : ওবায়দুল কাদের
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ ডিসেম্বর ২০২০, ৯:৩৪:০৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেছেন- বিএনপির রাজনীতিকে কচ্ছপের মতো। একবার মাথা বের করে, পরক্ষণেই আবার মাথা লুকিয়ে নেয়। দেশের জনগণও চায় বিএনপি মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াক। জনগণ চায়, বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী, উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতা ছেড়ে দিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চেতনায় রাজনীতি করুক। বিএনপিকে শক্তিশালী ও দায়িত্বশীল বিরোধী দলের ভূমিকায় দেখতে চায় সরকার।
আজ রোববার ঢাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আত্মবিশ্বাস তলানিতে ঠেকেছে বলেই তারা নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের আগেই হেরে যায়। প্রকৃতপক্ষে দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে। উচ্চ ও নিম্ন আদালতে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা আছে বলেই সরকার বিচারিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে না। তারা (বিএনপি) মামলায় জিতলে বলে বিচার বিভাগ স্বাধীন। আর হারলে বলে সরকার হস্তক্ষেপ করেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ব্যাহত ও বাধাগ্রস্ত করতে এবং গণতন্ত্রকে সংকটে ফেলতে চেয়েছিল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে সরকার গঠন করার সুযোগ দিয়েছিল বলেই সমগ্র বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, একদলীয় কোনো চর্চা সরকারের কাজে ও মনস্তত্ত্বে নেই। সরকার জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী। সমৃদ্ধ আগামী গড়তে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দায়িত্বশীল বিরোধী দল দেশে দরকার আছে।
জনগণের ও রাষ্ট্রের সম্পদ আগুনে যারা পোড়ায়, সন্ত্রাসনির্ভরতা যাদের আন্দোলনের চালিকা শক্তি, তাদের হাত থেকে জনগণের প্রাণ ও সম্পদের সুরক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। আন্দোলন আর সন্ত্রাস এক কথা নয়। প্রতিবাদ আর সহিংসতা এক কথা নয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা মহামারি মোকাবিলা করে আর্থসামাজিক অবস্থা ধরে রেখে বসবাসের উপযোগী ধারা বজায় রাখতে বিশ্বের শীর্ষ ২০টি দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ সহনশীলতা র্যাঙ্কিংয়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে শেখ হাসিনার দূরদর্শী, সুদক্ষ ও মানবিক নেতৃত্বের পরিচয় স্পষ্ট হয়েছে।